domenica 31 agosto 2025

Dio è Uno, l’Umanità è Una: non è religione, è manipolazione

LINGUE: Italiano ,Bengalese, Inglese, Urdu, Arabo, Francese, Spagnolo.

Stiamo vivendo tempi che sembrano tratti da un film dell’apocalisse, ma purtroppo sono realtà. Guerre, spostamenti biblici di popoli, terremoti, malattie e massacri scandiscono le nostre giornate. Abbiamo letto nei libri di storia le tragedie del passato, abbiamo visto documentari e ricostruzioni, ma mai avrei pensato di vivere personalmente un’epoca simile. L’Olocausto della seconda guerra mondiale e la tragedia di Gaza del nostro secolo sono ferite ancora aperte. Non possiamo dimenticare il 7 ottobre, ma non riesco a capire quale relazione ci sia tra lo sterminio compiuto da Hitler e dai nazisti e la responsabilità dei palestinesi in quella tragedia. Allo stesso modo, non comprendo la politica della Germania che sembra voler portare in eterno il peso dell’Olocausto, come se noi italiani di oggi dovessimo pagare per le colpe del fascismo di Mussolini. Ognuno è responsabile delle proprie azioni davanti a Dio e davanti agli uomini, e nessuno può essere chiamato a rispondere per i peccati altrui. Se dovessimo ragionare con questa logica, noi italiani, eredi dell’impero romano, dovremmo continuare a pagare per secoli per le sue conquiste, le distruzioni, le schiavitù e le ingiustizie commesse.

La nota più preoccupante oggi è il tentativo insistente di creare uno scontro religioso. Si cerca di mettere gli ebrei contro i musulmani, i musulmani contro i cristiani, alimentando un odio che non appartiene a Dio. Gli ebrei stessi sono vittime della politica distruttrice del governo israeliano che, con la scusa di eliminare Hamas, sta annientando un popolo intero, mai riconosciuto pienamente come Stato, e provocando lo sfollamento di milioni di persone. Questa politica irresponsabile rischia di alimentare nuovo antisemitismo e di isolare gli stessi ebrei nel mondo.

Dobbiamo domandarci chi muove davvero i fili della manipolazione dei social media, dei giornali e delle televisioni. Perché si insiste a raccontare la narrativa dei musulmani come invasori, come minaccia alla civiltà occidentale, accusandoli per il modo di mangiare, per il velo delle donne, per le moschee, come se fossero un pericolo. Ma quali sono i valori di questo Occidente che si arroga il diritto di ergersi a giudice? Si parla di libertà, di diritti, di democrazia, ma troppo spesso si giustificano guerre, occupazioni e bombardamenti che uccidono innocenti. Occidente non equivale a Cristianesimo. Cristo non ha mai predicato l’odio, il respingimento dei migranti o la discriminazione dei deboli. Chi invoca “valori cristiani dell’Occidente” per sostenere guerre e divisioni non difende il Vangelo, ma una visione di potere e dominio.

I musulmani, come ogni altro credente sincero, non vogliono imporre nulla a nessuno. Vogliono solo vivere la propria fede. È lo stesso principio di libertà che vale per chi, nato a Genova, ama mangiare trofiette al pesto e, trasferendosi a Milano, non accetta che qualcuno gli imponga di cambiare piatto: la libertà personale è sacra, purché nel rispetto delle leggi. Allo stesso modo, chi mangia halal o porta il velo lo fa per sé stesso, non per imporlo agli altri.

Ed è importante ricordare l’origine del velo: non è imposizione, ma atto di devozione. Nella tradizione islamica è segno di pudore e purezza, così come lo era nel cristianesimo primitivo. Maria, madre di Gesù*, è sempre rappresentata con il capo velato, e per secoli le suore hanno vissuto la loro consacrazione indossando un velo come segno di umiltà davanti a Dio. Il velo è dunque parte di una tradizione condivisa, che unisce fedi diverse nel richiamo alla modestia e al rispetto, non simbolo di oppressione ma di libertà spirituale.

L’Islam non è contro i diritti umani, al contrario li afferma nella loro essenza. Nel Corano Dio dice: “Abbiamo onorato i figli di Adamo, li abbiamo portati sulla terra e sul mare, li abbiamo nutriti di cose buone e li abbiamo preferiti su molte delle creature che abbiamo creato” (Sura 17:70). È scritto chiaramente che la dignità dell’uomo è un dono divino. Il Vangelo stesso richiama: “Amerai il tuo prossimo come te stesso” (Matteo 22:39). E la Torah ribadisce: “Non farai torto allo straniero che dimora presso di te” (Levitico 19:33). Questi testi sacri, che hanno la stessa origine, proclamano il valore della persona umana e la dignità di ciascun credente. Se l’Occidente pensa che l’Islam sia contro la democrazia o contro i diritti, è perché qualcuno ha distorto i nostri valori per alimentare diffidenza e odio.

Il problema non è la religione, ma il terrorismo, una parola che non esiste nei libri sacri. È l’invenzione di uomini malvagi che usano la fede come maschera per i propri interessi. Il terrorismo nasce dalle azioni di chi manipola, arma e finanzia gruppi estremisti, facendo credere che essi rappresentino una religione. Ma nessuna religione rivelata insegna il terrore.

Dobbiamo ricordare che l’unicità di Dio ci accomuna, e che noi musulmani viviamo gli ultimi tempi seguendo l’ultima rivelazione, senza però disprezzare Torah e Vangelo che restano libri sacri. La nostra è una scelta di fede, ma non deve mai trasformarsi in un motivo di divisione. Chi attacca l’Islam attacca lo stesso Dio dei cristiani e degli ebrei. I veri credenti, qualunque sia il libro che hanno deciso di seguire, non possono essere nemici tra loro, perché il fine della fede non è accendere odio, ma purificare i cuori.
Ambasciatore Alfredo Maiolese
Presidente dell’European Muslims League

Bengalese 
আমরা এমন এক সময়ে বসবাস করছি যা যেন এক প্রলয়ের ছবির মত, কিন্তু দুঃখজনকভাবে এটি বাস্তবতা। যুদ্ধ, জনগণের মহাস্রোত, ভূমিকম্প, রোগব্যাধি এবং গণহত্যা আমাদের প্রতিদিনকে চিহ্নিত করছে। আমরা ইতিহাসের বইয়ে অতীতের ট্র্যাজেডি পড়েছি, প্রামাণ্যচিত্র দেখেছি, কিন্তু কখনোই ভাবিনি নিজে এমন এক যুগের সাক্ষী হব। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হলোকাস্ট এবং আমাদের শতাব্দীর গাজা ট্র্যাজেডি আজও খোলা ক্ষত। আমরা ৭ অক্টোবর ভুলতে পারি না, কিন্তু আমি বুঝতে পারি না হিটলার ও নাৎসিদের হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের দায়িত্বের কী সম্পর্ক আছে। একইভাবে, আমি বুঝতে পারি না কেন জার্মানি চিরকাল হলোকাস্টের বোঝা বহন করতে চায়, যেমন আমরা ইতালীয়রা আজ মুসোলিনির ফ্যাসিবাদের জন্য শাস্তি ভোগ করব। প্রত্যেকে নিজ কর্মের জন্য আল্লাহর এবং মানুষের সামনে জবাবদিহি করবে, অন্যের পাপের জন্য কেউ দায়ী নয়। যদি আমরা এই যুক্তি অনুসরণ করি, তবে আমরা ইতালীয়রা, রোমান সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী হিসেবে, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে তার বিজয়, ধ্বংস, দাসত্ব ও অন্যায়ের জন্য শাস্তি দিতে থাকব।

আজকের সবচেয়ে উদ্বেগজনক দিক হলো একটি ধর্মীয় সংঘর্ষ সৃষ্টি করার জেদি চেষ্টা। ইহুদিদের মুসলমানদের বিরুদ্ধে, মুসলমানদের খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হচ্ছে, ঘৃণা জাগানো হচ্ছে যা আল্লাহর নয়। ইহুদিরা নিজেরাই ইসরায়েলি সরকারের ধ্বংসাত্মক নীতির শিকার, যারা হামাস নির্মূলের অজুহাতে একটি পুরো জাতিকে নিশ্চিহ্ন করছে, যাদের কখনো পূর্ণভাবে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি, আর এখন লক্ষ লক্ষ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করছে। এই দায়িত্বজ্ঞানহীন নীতি নতুন ইহুদিবিদ্বেষ উসকে দিতে পারে এবং ইহুদিদেরই বিশ্বে বিচ্ছিন্ন করতে পারে।

আমাদের জিজ্ঞাসা করা উচিত কারা সত্যিই গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং সংবাদপত্রের সুতো টানছে। কেন বারবার বলা হয় যে মুসলমানরা আক্রমণকারী, পশ্চিমা সভ্যতার হুমকি, আর দোষারোপ করা হয় তাদের খাওয়া-দাওয়ার ধরন, নারীদের হিজাব, মসজিদ নির্মাণের জন্য, যেন এগুলো বিপদ। কিন্তু এই পশ্চিমের কী মূল্যবোধ, যারা নিজেদের বিচারক মনে করে? তারা স্বাধীনতা, অধিকার, গণতন্ত্রের কথা বলে, অথচ যুদ্ধ, দখলদারিত্ব ও বোমা বর্ষণকে সমর্থন করে, যা নিরপরাধ মানুষ হত্যা করে। পশ্চিম মানেই খ্রিস্টধর্ম নয়। খ্রিস্ট কখনো ঘৃণা, অভিবাসীদের প্রত্যাখ্যান বা দুর্বলদের বৈষম্য প্রচার করেননি। যারা "পশ্চিমের খ্রিস্টীয় মূল্যবোধ" এর নামে যুদ্ধ ও বিভাজনকে সমর্থন করে, তারা আসলে সুসমাচার নয়, বরং ক্ষমতা ও আধিপত্যের ধারণা রক্ষা করে।

মুসলমানরা, অন্য যে কোনো আন্তরিক বিশ্বাসীর মতো, কাউকে কিছু চাপিয়ে দিতে চায় না। তারা শুধু নিজেদের বিশ্বাস নিয়ে বাঁচতে চায়। এটি স্বাধীনতার একই নীতি, যেমন একজন জেনোভার মানুষ যিনি ট্রোফি আল পেস্টো ভালোবাসেন, মিলানে চলে গেলেও কেউ তাকে অন্য খাবার খেতে বাধ্য করতে পারে না। ব্যক্তিগত স্বাধীনতা পবিত্র, আইন মেনে চলা সাপেক্ষে। তেমনি, কেউ হালাল খেলে বা হিজাব পরে, তা নিজস্বতার জন্য, অন্যদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার জন্য নয়।

আর হিজাবের উৎস স্মরণ রাখা জরুরি: এটি কোনো চাপ নয়, বরং ভক্তির প্রকাশ। ইসলামী ঐতিহ্যে এটি লজ্জাশীলতা ও পবিত্রতার চিহ্ন, যেমনটা প্রাথমিক খ্রিস্টধর্মেও ছিল। মরিয়ম, ঈসার জননী, সবসময় মাথা ঢেকে চিত্রিত হয়েছেন, আর শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সন্ন্যাসিনীরা আল্লাহর প্রতি নম্রতার প্রতীক হিসেবে হিজাব পরিধান করেছেন। সুতরাং, হিজাব একটি অভিন্ন ঐতিহ্যের অংশ, যা ভিন্ন ধর্মকে নম্রতা ও শ্রদ্ধার আহ্বানে যুক্ত করে, এটি নিপীড়নের প্রতীক নয় বরং আধ্যাত্মিক স্বাধীনতার চিহ্ন।

ইসলাম মানবাধিকারের বিপক্ষে নয়, বরং সেগুলোকে তাদের আসল রূপে প্রতিষ্ঠিত করে। কোরআনে আল্লাহ বলেন: “আমি আদম সন্তানদের মর্যাদাপূর্ণ করেছি, তাদেরকে স্থল ও জলপথে চলিয়েছি, উত্তম রিজিক দিয়েছি এবং আমার সৃষ্টির অনেকের উপর তাদের শ্রেষ্ঠ করেছি” (সূরা ১৭:৭০)। এখানে স্পষ্টভাবে লেখা আছে মানুষের মর্যাদা আল্লাহর দান। বাইবেলও বলে: “তুমি তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মতোই ভালোবাসবে” (ম্যাথিউ ২২:৩৯)। আর তাওরাত বলে: “তোমার দেশে বসবাসরত বিদেশীর প্রতি কোনো অবিচার করবে না” (লেভিটিকাস ১৯:৩৩)। এই সব ঐশী গ্রন্থ, যাদের উৎস একই, মানবের মর্যাদা ও প্রতিটি বিশ্বাসীর সম্মানকে ঘোষণা করে। যদি পশ্চিম মনে করে ইসলাম গণতন্ত্র বা অধিকারের বিরুদ্ধে, তবে তা এই কারণে যে কেউ আমাদের মূল্যবোধ বিকৃত করেছে সন্দেহ ও ঘৃণা ছড়ানোর জন্য।

সমস্যা ধর্ম নয়, বরং সন্ত্রাসবাদ, একটি শব্দ যা কোনো ঐশী গ্রন্থে নেই। এটি দুষ্ট মানুষের উদ্ভাবন, যারা নিজেদের স্বার্থে বিশ্বাসকে মুখোশ বানায়। সন্ত্রাসবাদ জন্ম নেয় সেই সব মানুষের কাজ থেকে, যারা চরমপন্থী গোষ্ঠীকে পরিচালনা করে, অস্ত্র দেয় ও অর্থায়ন করে, আর মানুষকে বিশ্বাস করায় যে তারা ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করে। অথচ কোনো ঐশী ধর্মই ভয় শেখায় না।

আমাদের মনে রাখা উচিত যে আল্লাহর একত্বই আমাদের এক করে, আর আমরা মুসলমানরা শেষ ওহী অনুসরণ করি, তবে তাওরাত ও বাইবেলকে ঘৃণা করি না, যেগুলো পবিত্র গ্রন্থ হিসেবেই থেকে গেছে। এটি আমাদের ঈমানের পছন্দ, কিন্তু কখনো বিভেদের কারণ হওয়া উচিত নয়। যে ইসলাম আক্রমণ করে, সে খ্রিস্টান ও ইহুদিদের ঈশ্বরকেও আক্রমণ করে। প্রকৃত বিশ্বাসীরা, তারা যে গ্রন্থই অনুসরণ করুক না কেন, একে অপরের শত্রু হতে পারে না, কারণ বিশ্বাসের লক্ষ্য ঘৃণা জ্বালানো নয়, বরং হৃদয়কে পবিত্র করা।

অ্যাম্বাসাডর আলফ্রেদো মাইওলেসে
প্রেসিডেন্ট, ইউরোপীয় মুসলিম লীগ

English
We are living in times that seem taken from an apocalyptic film, yet they are our reality. Wars, biblical displacements of peoples, earthquakes, diseases, and massacres mark our days. We have read in history books about past tragedies, we have seen documentaries and reconstructions, but I never thought I would personally live through such an era. The Holocaust of the Second World War and the tragedy of Gaza in our century are wounds still open. We cannot forget October 7, but I cannot understand what relationship there is between the extermination carried out by Hitler and the Nazis and the responsibility of the Palestinians in that tragedy. In the same way, I do not understand the policy of Germany that seems to wish to eternally bear the weight of the Holocaust, as if we Italians today had to pay for the crimes of Mussolini’s fascism. Everyone is responsible for their own actions before God and before men, and no one can be called to account for the sins of others. If we were to reason with such logic, we Italians, heirs of the Roman Empire, should still continue to pay for centuries for its conquests, destructions, slavery, and injustices.

The most worrying note today is the insistent attempt to create a religious clash. There is an effort to set Jews against Muslims, Muslims against Christians, fueling a hatred that does not belong to God. Jews themselves are victims of the destructive policies of the Israeli government which, under the pretext of eliminating Hamas, is annihilating an entire people, never fully recognized as a State, and is provoking the displacement of millions. Such irresponsible politics risk fueling new antisemitism and isolating Jews themselves across the world.

We must ask ourselves who really pulls the strings of manipulation through social media, newspapers, and television. Why is there a constant insistence on portraying Muslims as invaders, as a threat to Western civilization, accusing them for their way of eating, for women’s veils, for building mosques, as if these were dangers? But what are the values of this West that assumes the right to stand as judge? It speaks of freedom, rights, and democracy, yet too often justifies wars, occupations, and bombings that kill innocents. The West does not equal Christianity. Christ never preached hatred, the rejection of migrants, or the discrimination of the weak. Those who invoke the “Christian values of the West” to support wars and divisions are not defending the Gospel, but rather a vision of power and domination.

Muslims, like every other sincere believer, do not want to impose anything on anyone. They only want to live their faith. It is the same principle of freedom that applies to anyone: just as someone born in Genoa loves to eat trofiette al pesto and, when moving to Milan, does not accept being forced to change their dish, so personal freedom is sacred, as long as it respects the law. In the same way, one who eats halal or wears the veil does so for themselves, not to impose it on others.

And it is important to remember the origin of the veil: it is not an imposition, but an act of devotion. In Islamic tradition it is a sign of modesty and purity, just as it was in early Christianity. Mary, the mother of Jesus, is always represented with her head covered, and for centuries nuns have lived their consecration wearing a veil as a sign of humility before God. The veil is therefore part of a shared tradition, uniting different faiths in the call to modesty and respect, not as a symbol of oppression but as a sign of spiritual freedom.

Islam is not against human rights, on the contrary it affirms them in their very essence. In the Qur’an, God says: “We have honored the children of Adam, carried them on land and sea, provided them with good things, and favored them above many of those We created” (Surah 17:70). It is clearly written that the dignity of man is a divine gift. The Gospel itself recalls: “You shall love your neighbor as yourself” (Matthew 22:39). And the Torah states: “When a stranger resides with you in your land, you shall not do him wrong” (Leviticus 19:33). These sacred texts, born from the same origin, proclaim the value of the human person and the dignity of every believer. If the West thinks that Islam is against democracy or against rights, it is because someone has distorted our values in order to fuel distrust and hatred.

The problem is not religion, but terrorism—a word that does not exist in the sacred books. It is the invention of wicked men who use faith as a mask for their own interests. Terrorism is born from the actions of those who manipulate, arm, and finance extremist groups, making people believe that they represent a religion. But no revealed faith teaches terror.

We must remember that the oneness of God unites us, and that we Muslims live the final revelation while not despising the Torah and the Gospel, which remain sacred books. Ours is a choice of faith, but it must never become a cause of division. Whoever attacks Islam attacks the very God of Christians and Jews. True believers, whatever book they choose to follow, cannot be enemies among themselves, because the purpose of faith is not to ignite hatred, but to purify hearts.

Ambassador Alfredo Maiolese
President of the European Muslims League

Urdu

ہم ایسے دور میں جی رہے ہیں جو کسی قیامت خیز فلم سے ماخوذ معلوم ہوتا ہے، لیکن بدقسمتی سے یہ ہماری حقیقت ہے۔ جنگیں، اقوام کی بائبلی ہجرتیں، زلزلے، بیماریاں اور قتل عام ہمارے دنوں کو نشان زد کر رہے ہیں۔ ہم نے تاریخ کی کتابوں میں ماضی کے سانحات پڑھے ہیں، دستاویزی فلمیں اور باز تخلیقات دیکھی ہیں، لیکن کبھی نہ سوچا تھا کہ خود اپنی زندگی میں ایسے زمانے کا مشاہدہ کروں گا۔ دوسری جنگِ عظیم کا ہولوکاسٹ اور ہمارے صدی کا غزہ کا المیہ آج بھی کھلے زخم ہیں۔ ہم 7 اکتوبر کو نہیں بھول سکتے، لیکن میں نہیں سمجھ پاتا کہ ہٹلر اور نازیوں کے جرائم اور فلسطینیوں کی اس سانحہ میں کیا ذمہ داری بنتی ہے۔ اسی طرح میں جرمنی کی اس پالیسی کو بھی نہیں سمجھتا جو گویا ہمیشہ کے لئے ہولوکاسٹ کا بوجھ اٹھانا چاہتی ہے، جیسے آج کے اطالویوں کو موسولینی کی فاشزم کے گناہوں کا کفارہ دینا ہو۔ ہر شخص اپنے اعمال کا جواب اللہ اور انسانوں کے سامنے دے گا، اور کوئی بھی دوسروں کے گناہوں کا ذمہ دار نہیں۔ اگر ہم اسی منطق سے سوچیں تو ہمیں اطالویوں کو رومی سلطنت کی فتوحات، تباہیوں، غلامیوں اور ناانصافیوں کا صدیوں تک خمیازہ بھگتنا چاہئے۔

آج سب سے تشویشناک بات یہ ہے کہ زبردستی ایک مذہبی تصادم پیدا کرنے کی کوشش کی جا رہی ہے۔ یہودیوں کو مسلمانوں کے خلاف، مسلمانوں کو عیسائیوں کے خلاف کھڑا کرنے کی تدبیریں کی جاتی ہیں، ایسی نفرت کو بڑھاوا دیا جاتا ہے جو اللہ کی طرف سے نہیں۔ خود یہودی بھی اسرائیلی حکومت کی تباہ کن پالیسیوں کا شکار ہیں جو حماس کو ختم کرنے کے بہانے ایک پوری قوم کو نیست و نابود کر رہی ہے، جسے کبھی بطور ریاست مکمل تسلیم نہیں کیا گیا، اور لاکھوں لوگوں کو بے گھر کر رہی ہے۔ یہ غیر ذمہ دارانہ سیاست نئے یہود دشمنی کو ہوا دے سکتی ہے اور خود یہودیوں کو دنیا میں تنہا کر سکتی ہے۔

ہمیں یہ سوال اٹھانا چاہئے کہ اصل میں میڈیا، سوشل میڈیا اور اخبارات و ٹی وی کو کون چلا رہا ہے؟ کیوں مسلمانوں کو مسلسل حملہ آور، مغربی تہذیب کے لئے خطرہ دکھایا جاتا ہے؟ کیوں ان پر ان کے کھانے، عورتوں کے حجاب اور مساجد بنانے پر الزام لگایا جاتا ہے جیسے یہ کوئی خطرہ ہوں؟ لیکن وہ مغرب کی کون سی قدریں ہیں جو اپنے آپ کو قاضی سمجھتا ہے؟ وہ آزادی، حقوق اور جمہوریت کی بات کرتا ہے لیکن اکثر جنگوں، قبضوں اور بمباری کو جواز دیتا ہے جو معصوموں کو قتل کرتی ہیں۔ مغرب عیسائیت کے برابر نہیں۔ مسیح نے کبھی نفرت، مہاجرین کے انکار یا کمزوروں کے ساتھ امتیاز کی تبلیغ نہیں کی۔ جو لوگ "مغرب کی عیسائی اقدار" کے نام پر جنگوں اور تقسیمات کا دفاع کرتے ہیں وہ انجیل کا دفاع نہیں کرتے بلکہ طاقت اور غلبے کی سوچ کا دفاع کرتے ہیں۔

مسلمان، جیسے ہر مخلص مومن، کسی پر کچھ مسلط نہیں کرنا چاہتے۔ وہ صرف اپنا ایمان جینا چاہتے ہیں۔ یہ آزادی کا وہی اصول ہے جو سب پر لاگو ہوتا ہے: جیسے کوئی شخص جو جینوا میں پیدا ہوا ہو اور ٹروفیٹے آل پیستو کھانے کو پسند کرتا ہو، اور جب میلان منتقل ہوتا ہے تو وہ قبول نہ کرے کہ کوئی اسے زبردستی دوسرا کھانا کھلائے۔ ذاتی آزادی مقدس ہے، جب تک کہ وہ قانون کے دائرے میں ہو۔ اسی طرح جو حلال کھاتا ہے یا حجاب پہنتا ہے، وہ یہ اپنے لئے کرتا ہے نہ کہ دوسروں پر مسلط کرنے کے لئے۔

اور یہ یاد رکھنا ضروری ہے کہ حجاب کی اصل زبردستی نہیں بلکہ عبادت کا عمل ہے۔ اسلامی روایت میں یہ حیا اور پاکیزگی کی علامت ہے، جیسا کہ ابتدائی عیسائیت میں بھی تھا۔ مریم، عیسیٰ کی والدہ، ہمیشہ ڈھکے ہوئے سر کے ساتھ دکھائی جاتی ہیں، اور صدیوں تک راہبائیں اپنے آپ کو خدا کے حضور عاجزی کے طور پر حجاب کے ساتھ پیش کرتی رہی ہیں۔ لہٰذا حجاب ایک مشترکہ روایت کا حصہ ہے جو مختلف مذاہب کو حیا اور احترام کی دعوت میں یکجا کرتا ہے، یہ جبر کی علامت نہیں بلکہ روحانی آزادی کی نشانی ہے۔

اسلام انسانی حقوق کے خلاف نہیں، بلکہ ان کو ان کی اصل میں ثابت کرتا ہے۔ قرآن میں اللہ فرماتا ہے:
﴿وَلَقَدْ كَرَّمْنَا بَنِي آدَمَ وَحَمَلْنَاهُمْ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَرَزَقْنَاهُمْ مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَفَضَّلْنَاهُمْ عَلَى كَثِيرٍ مِمَّنْ خَلَقْنَا تَفْضِيلاً﴾ (الإسراء: 70)
یہ صاف لکھا ہے کہ انسان کی عزت اللہ کی عطا ہے۔ انجیل یاد دلاتی ہے: "تم اپنے پڑوسی سے اپنی طرح محبت کرو گے" (متی 22:39)۔ اور تورات کہتی ہے: "جب کوئی اجنبی تمہارے ملک میں رہتا ہو تو اسے ظلم نہ کرنا" (احبار 19:33)۔ یہ الہامی کتب، جو ایک ہی اصل سے آئی ہیں، انسانی وقار اور ہر مومن کی عزت کو بیان کرتی ہیں۔ اگر مغرب یہ سمجھتا ہے کہ اسلام جمہوریت یا حقوق کے خلاف ہے، تو اس کی وجہ یہ ہے کہ کسی نے ہماری قدروں کو بگاڑ کر نفرت اور بدگمانی کو فروغ دیا ہے۔

مسئلہ مذہب نہیں بلکہ دہشت گردی ہے، ایک ایسا لفظ جو کسی مقدس کتاب میں نہیں ملتا۔ یہ برے انسانوں کی ایجاد ہے جو اپنے ذاتی مفادات کے لئے ایمان کو نقاب بناتے ہیں۔ دہشت گردی ان لوگوں کے عمل سے جنم لیتی ہے جو انتہاپسند گروہوں کو اسلحہ، سرمایہ اور راہنمائی فراہم کرتے ہیں، اور لوگوں کو یہ یقین دلاتے ہیں کہ وہ دین کی نمائندگی کرتے ہیں۔ لیکن کوئی بھی الہامی مذہب دہشت نہیں سکھاتا۔

ہمیں یاد رکھنا چاہئے کہ اللہ کی وحدانیت ہمیں یکجا کرتی ہے، اور ہم مسلمان آخری وحی پر ایمان رکھتے ہیں مگر تورات اور انجیل کو حقیر نہیں جانتے، جو اب بھی مقدس کتب ہیں۔ یہ ہمارا ایمان کا انتخاب ہے، لیکن یہ کبھی بھی تقسیم کا سبب نہیں بننا چاہئے۔ جو اسلام پر حملہ کرتا ہے، وہ عیسائیوں اور یہودیوں کے خدا ہی پر حملہ کرتا ہے۔ حقیقی مومن، چاہے وہ جس کتاب کی پیروی کرے، ایک دوسرے کے دشمن نہیں ہو سکتے، کیونکہ ایمان کا مقصد نفرت بھڑکانا نہیں بلکہ دلوں کو پاک کرنا ہے۔

سفیر الفریدو مائیولیزے
صدر، یورپی مسلم لیگ

Arabic 

نحن نعيش في زمنٍ يبدو كأنه مأخوذ من فيلم عن نهاية العالم، لكنه للأسف واقع حقيقي. الحروب، النزوح الجماعي للشعوب، الزلازل، الأمراض والمجازر تطبع أيامنا. قرأنا في كتب التاريخ عن مآسي الماضي، وشاهدنا أفلاماً وثائقية وإعادات سرد، لكنني لم أكن أتصور أنني سأعيش شخصياً مثل هذا العصر. محرقة الحرب العالمية الثانية ومأساة غزة في عصرنا جراح ما زالت مفتوحة. لا يمكننا أن ننسى السابع من أكتوبر، لكنني لا أفهم ما العلاقة بين الإبادة التي ارتكبها هتلر والنازيون وبين مسؤولية الفلسطينيين عن تلك المأساة. وبالمثل، لا أفهم سياسة ألمانيا التي تبدو وكأنها تريد أن تحمل إلى الأبد عبء المحرقة، كما لو كان علينا نحن الإيطاليين اليوم أن ندفع ثمن خطايا فاشية موسوليني. كل إنسان مسؤول عن أعماله أمام الله وأمام البشر، ولا يمكن أن يُحاسب أحد عن خطايا غيره. ولو اتبعنا هذا المنطق، لوجب علينا نحن الإيطاليين، ورثة الإمبراطورية الرومانية، أن نستمر في دفع الثمن قروناً طويلة بسبب فتوحاتها ودمارها وعبوديتها وظلمها.

الأمر الأكثر إثارة للقلق اليوم هو المحاولة المستمرة لإشعال صدام ديني. هناك من يسعى لوضع اليهود في مواجهة المسلمين، والمسلمين في مواجهة المسيحيين، لإذكاء كراهية لا تنتمي إلى الله. اليهود أنفسهم ضحايا لسياسات الحكومة الإسرائيلية المدمرة التي، بذريعة القضاء على حماس، تُبيد شعباً بأكمله لم يُعترف به يوماً كدولة بشكل كامل، وتسبب تهجير الملايين. هذه السياسة غير المسؤولة قد تؤجج معاداة السامية من جديد وتدفع إلى عزل اليهود أنفسهم في العالم.

علينا أن نتساءل: من الذي يحرك فعلاً خيوط التلاعب في وسائل الإعلام ومواقع التواصل الاجتماعي والصحف والتلفاز؟ لماذا يُصرّون على تصوير المسلمين كغزاة، كتهديد للحضارة الغربية، ويتهمونهم بسبب طعامهم، أو حجاب نسائهم، أو مساجدهم، كأنها أخطار؟ لكن ما هي قيم هذا الغرب الذي ينصّب نفسه قاضياً؟ يتحدث عن الحرية والحقوق والديمقراطية، لكنه غالباً ما يبرر الحروب والاحتلالات والقصف الذي يقتل الأبرياء. الغرب لا يساوي المسيحية. فالمسيح لم يعلّم أبداً الكراهية، أو رفض المهاجرين، أو التمييز ضد الضعفاء. أولئك الذين يرفعون شعار "القيم المسيحية للغرب" لتبرير الحروب والانقسامات لا يدافعون عن الإنجيل، بل عن رؤية للسلطة والسيطرة.

المسلمون، مثل أي مؤمن صادق آخر، لا يريدون فرض شيء على أحد. إنهم يريدون فقط أن يعيشوا إيمانهم. إنه نفس مبدأ الحرية الذي ينطبق على كل إنسان: كما أن من وُلد في جنوى ويحب أكل تروفيو أل بيستو، حين ينتقل إلى ميلانو لا يقبل أن يفرض عليه أحد تغيير طعامه، فإن الحرية الشخصية مقدسة ما دامت في إطار القانون. وكذلك، من يأكل الحلال أو ترتدي الحجاب إنما يفعل ذلك لنفسه، لا ليفرضه على الآخرين.

ومن المهم أن نتذكر أصل الحجاب: فهو ليس فرضاً قسرياً، بل عمل تعبدي. في التقليد الإسلامي هو علامة الحياء والطهارة، كما كان في المسيحية الأولى. مريم، أمّ عيسى، صُوّرت دائماً برأس مغطى، وقروناً طويلة عاش الراهبات تكريسهن لله مرتديات الحجاب كرمز تواضع أمامه. لذلك، فالحجاب جزء من تقليد مشترك يجمع بين الأديان المختلفة في الدعوة إلى الحشمة والاحترام، وليس رمزاً للقمع بل للحرية الروحية.

الإسلام ليس ضد حقوق الإنسان، بل يؤكدها في جوهرها. في القرآن يقول الله تعالى: ﴿وَلَقَدْ كَرَّمْنَا بَنِي آدَمَ وَحَمَلْنَاهُمْ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَرَزَقْنَاهُمْ مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَفَضَّلْنَاهُمْ عَلَى كَثِيرٍ مِمَّنْ خَلَقْنَا تَفْضِيلاً﴾ (الإسراء: 70). وقد كُتب بوضوح أن كرامة الإنسان هبة إلهية. والإنجيل يقول: «تحب قريبك كنفسك» (متى 22:39). والتوراة تكرر: «وإذا نزل عندك غريب في أرضكم فلا تظلموه» (اللاويين 19:33). هذه النصوص السماوية، التي تنحدر من أصل واحد، تعلن قيمة الإنسان وكرامة كل مؤمن. وإذا كان الغرب يظن أن الإسلام ضد الديمقراطية أو الحقوق، فذلك لأن أحدهم حرّف قيمنا ليغذي الشك والكراهية.

المشكلة ليست في الدين، بل في الإرهاب، وهي كلمة لا وجود لها في الكتب السماوية. إنها اختراع رجال أشرار يستخدمون الدين قناعاً لمصالحهم. الإرهاب يولد من أفعال من يموّل ويسلح ويُحرّك الجماعات المتطرفة، ليجعل الناس يعتقدون أنهم يمثلون الدين. لكن أي دين سماوي لا يعلّم الإرهاب.

يجب أن نتذكر أن توحيد الله يجمعنا، وأننا نحن المسلمين نعيش الوحي الأخير دون أن نحتقر التوراة والإنجيل اللذين يظلان كتابين مقدسين. إنه خيار إيماني لنا، لكنه لا يجب أن يصبح سبباً للانقسام. من يهاجم الإسلام إنما يهاجم إله المسيحيين واليهود نفسه. المؤمنون الحقيقيون، أياً كان الكتاب الذي يتبعونه، لا يمكن أن يكونوا أعداء لبعضهم البعض، لأن غاية الإيمان ليست إشعال الكراهية بل تطهير القلوب.

السفير ألفريدو مايوليزي
رئيس رابطة المسلمين الأوروبيين

Français

Nous vivons une époque qui semble tirée d’un film apocalyptique, mais qui est malheureusement bien réelle. Guerres, déplacements bibliques de peuples, tremblements de terre, maladies et massacres marquent nos journées. Nous avons lu dans les livres d’histoire les tragédies du passé, nous avons vu des documentaires et des reconstitutions, mais jamais je n’aurais pensé vivre personnellement une époque semblable. L’Holocauste de la Seconde Guerre mondiale et la tragédie de Gaza de notre siècle sont des blessures encore ouvertes. Nous ne pouvons pas oublier le 7 octobre, mais je ne comprends pas quel lien il pourrait y avoir entre l’extermination commise par Hitler et les nazis et la responsabilité des Palestiniens dans cette tragédie. De la même manière, je ne comprends pas la politique de l’Allemagne qui semble vouloir porter éternellement le poids de l’Holocauste, comme si nous, Italiens d’aujourd’hui, devions payer pour les fautes du fascisme de Mussolini. Chacun est responsable de ses propres actions devant Dieu et devant les hommes, et nul ne peut être appelé à répondre pour les péchés d’autrui. Si nous devions raisonner avec cette logique, nous Italiens, héritiers de l’Empire romain, devrions continuer à payer pendant des siècles pour ses conquêtes, ses destructions, ses esclavages et ses injustices.

La note la plus préoccupante aujourd’hui est la tentative insistante de créer un affrontement religieux. On cherche à dresser les Juifs contre les musulmans, les musulmans contre les chrétiens, alimentant une haine qui n’appartient pas à Dieu. Les Juifs eux-mêmes sont victimes de la politique destructrice du gouvernement israélien qui, sous prétexte d’éliminer le Hamas, est en train d’anéantir tout un peuple, jamais reconnu pleinement comme État, et provoque le déplacement de millions de personnes. Cette politique irresponsable risque d’alimenter un nouvel antisémitisme et d’isoler les Juifs eux-mêmes dans le monde.

Nous devons nous demander qui tire réellement les ficelles de la manipulation des médias, des réseaux sociaux et des télévisions. Pourquoi insiste-t-on à présenter les musulmans comme des envahisseurs, comme une menace pour la civilisation occidentale, en les accusant pour leur façon de manger, pour le voile des femmes, pour leurs mosquées, comme si cela représentait un danger ? Mais quelles sont les valeurs de cet Occident qui se prétend juge ? On parle de liberté, de droits, de démocratie, mais trop souvent on justifie des guerres, des occupations et des bombardements qui tuent des innocents. L’Occident ne se confond pas avec le christianisme. Le Christ n’a jamais prêché la haine, le rejet des migrants ou la discrimination des faibles. Ceux qui invoquent les “valeurs chrétiennes de l’Occident” pour soutenir les guerres et les divisions ne défendent pas l’Évangile, mais une vision de pouvoir et de domination.

Les musulmans, comme tout autre croyant sincère, ne veulent rien imposer à personne. Ils veulent seulement vivre leur foi. C’est le même principe de liberté qui s’applique à chacun : comme celui qui, né à Gênes, aime manger des trofie au pesto et, en s’installant à Milan, n’accepte pas que l’on lui impose un autre plat. La liberté personnelle est sacrée, tant qu’elle respecte la loi. De la même manière, celui qui mange halal ou porte le voile le fait pour lui-même, et non pour l’imposer aux autres.

Et il est important de rappeler l’origine du voile : ce n’est pas une contrainte, mais un acte de dévotion. Dans la tradition islamique, il est signe de pudeur et de pureté, comme il l’était dans le christianisme primitif. Marie, la mère de Jésus, est toujours représentée la tête couverte, et pendant des siècles les religieuses ont vécu leur consécration en portant un voile comme signe d’humilité devant Dieu. Le voile fait donc partie d’une tradition partagée qui unit différentes confessions dans l’appel à la modestie et au respect, non pas comme symbole d’oppression, mais comme signe de liberté spirituelle.

L’islam n’est pas contre les droits de l’homme, au contraire il les affirme dans leur essence. Dans le Coran, Dieu dit : « Nous avons honoré les fils d’Adam, Nous les avons transportés sur terre et sur mer, Nous leur avons attribué de bonnes choses, et Nous les avons préférés à beaucoup de Nos créatures » (Sourate 17:70). Il est clairement écrit que la dignité de l’homme est un don divin. L’Évangile rappelle : « Tu aimeras ton prochain comme toi-même » (Matthieu 22:39). Et la Torah répète : « Si un étranger réside parmi vous dans votre pays, vous ne l’opprimerez pas » (Lévitique 19:33). Ces textes sacrés, qui ont la même origine, proclament la valeur de la personne humaine et la dignité de chaque croyant. Si l’Occident pense que l’islam est contre la démocratie ou contre les droits, c’est parce que certains ont déformé nos valeurs pour nourrir la méfiance et la haine.

Le problème n’est pas la religion, mais le terrorisme, un mot qui n’existe pas dans les livres sacrés. C’est l’invention d’hommes malveillants qui utilisent la foi comme masque pour leurs propres intérêts. Le terrorisme naît des actions de ceux qui manipulent, arment et financent des groupes extrémistes, faisant croire qu’ils représentent une religion. Mais aucune religion révélée n’enseigne la terreur.

Nous devons nous rappeler que l’unicité de Dieu nous unit, et que nous, musulmans, vivons la dernière révélation sans pour autant mépriser la Torah et l’Évangile qui demeurent des livres sacrés. C’est un choix de foi, mais il ne doit jamais devenir une cause de division. Celui qui attaque l’islam attaque le même Dieu des chrétiens et des juifs. Les vrais croyants, quel que soit le livre qu’ils ont choisi de suivre, ne peuvent pas être ennemis entre eux, car le but de la foi n’est pas d’allumer la haine, mais de purifier les cœurs.

Ambassadeur Alfredo Maiolese
Président de la Ligue Musulmane Européenne

Español 

Estamos viviendo tiempos que parecen sacados de una película apocalíptica, pero que por desgracia son una realidad. Guerras, desplazamientos bíblicos de pueblos, terremotos, enfermedades y masacres marcan nuestros días. Hemos leído en los libros de historia las tragedias del pasado, hemos visto documentales y reconstrucciones, pero nunca pensé que viviría personalmente una época semejante. El Holocausto de la Segunda Guerra Mundial y la tragedia de Gaza en nuestro siglo son heridas todavía abiertas. No podemos olvidar el 7 de octubre, pero no logro comprender qué relación puede existir entre el exterminio cometido por Hitler y los nazis y la responsabilidad de los palestinos en aquella tragedia. De la misma manera, no entiendo la política de Alemania que parece querer cargar eternamente con el peso del Holocausto, como si nosotros, los italianos de hoy, tuviéramos que pagar por los crímenes del fascismo de Mussolini. Cada uno es responsable de sus propias acciones ante Dios y ante los hombres, y nadie puede ser llamado a responder por los pecados de los demás. Si siguiéramos esta lógica, nosotros los italianos, herederos del Imperio romano, deberíamos continuar pagando durante siglos por sus conquistas, destrucciones, esclavitudes e injusticias.

La nota más preocupante hoy es el intento persistente de crear un choque religioso. Se trata de enfrentar a judíos contra musulmanes, a musulmanes contra cristianos, alimentando un odio que no pertenece a Dios. Los propios judíos son víctimas de la política destructiva del gobierno israelí que, con el pretexto de eliminar a Hamás, está aniquilando a todo un pueblo, nunca plenamente reconocido como Estado, y provocando el desplazamiento de millones de personas. Esta política irresponsable corre el riesgo de alimentar un nuevo antisemitismo y de aislar a los propios judíos en el mundo.

Debemos preguntarnos quién mueve realmente los hilos de la manipulación en las redes sociales, en los periódicos y en la televisión. ¿Por qué se insiste en presentar a los musulmanes como invasores, como una amenaza para la civilización occidental, acusándolos por su modo de alimentarse, por el velo de las mujeres, por sus mezquitas, como si eso fuera un peligro? Pero ¿cuáles son los valores de este Occidente que se arroga el derecho de erigirse en juez? Se habla de libertad, de derechos, de democracia, pero con demasiada frecuencia se justifican guerras, ocupaciones y bombardeos que matan a inocentes. Occidente no equivale a cristianismo. Cristo nunca predicó el odio, el rechazo de los migrantes ni la discriminación de los débiles. Quienes invocan los “valores cristianos de Occidente” para apoyar guerras y divisiones no defienden el Evangelio, sino una visión de poder y dominación.

Los musulmanes, como cualquier otro creyente sincero, no quieren imponer nada a nadie. Solo desean vivir su fe. Es el mismo principio de libertad que se aplica a cualquiera: como aquel que, nacido en Génova, ama comer trofiette al pesto y, al mudarse a Milán, no acepta que alguien le imponga otro plato. La libertad personal es sagrada, siempre que respete la ley. Del mismo modo, quien come halal o lleva velo lo hace para sí mismo, no para imponérselo a los demás.

Y es importante recordar el origen del velo: no es una imposición, sino un acto de devoción. En la tradición islámica es un signo de pudor y pureza, al igual que lo fue en el cristianismo primitivo. María, madre de Jesús, siempre es representada con la cabeza cubierta, y durante siglos las monjas han vivido su consagración llevando un velo como signo de humildad ante Dios. El velo es, por tanto, parte de una tradición compartida que une a diferentes confesiones en la llamada a la modestia y al respeto, no como símbolo de opresión, sino de libertad espiritual.

El islam no está en contra de los derechos humanos, al contrario, los afirma en su esencia. En el Corán, Dios dice: «Hemos honrado a los hijos de Adán, los hemos transportado por tierra y mar, los hemos provisto de cosas buenas y los hemos preferido sobre muchas de las criaturas que hemos creado» (Sura 17:70). Está claramente escrito que la dignidad del hombre es un don divino. El Evangelio recuerda: «Amarás a tu prójimo como a ti mismo» (Mateo 22:39). Y la Torá repite: «Cuando un extranjero resida con vosotros en vuestra tierra, no lo oprimiréis» (Levítico 19:33). Estos textos sagrados, que tienen un mismo origen, proclaman el valor de la persona humana y la dignidad de cada creyente. Si Occidente piensa que el islam está en contra de la democracia o de los derechos, es porque alguien ha distorsionado nuestros valores para alimentar la desconfianza y el odio.

El problema no es la religión, sino el terrorismo, una palabra que no existe en los libros sagrados. Es la invención de hombres malvados que usan la fe como máscara para sus propios intereses. El terrorismo nace de las acciones de quienes manipulan, arman y financian a grupos extremistas, haciendo creer que representan a una religión. Pero ninguna religión revelada enseña el terror.

Debemos recordar que la unicidad de Dios nos une, y que nosotros los musulmanes vivimos la última revelación sin despreciar la Torá y el Evangelio, que siguen siendo libros sagrados. Es una elección de fe, pero nunca debe convertirse en motivo de división. Quien ataca al islam ataca al mismo Dios de cristianos y judíos. Los verdaderos creyentes, sea cual sea el libro que han elegido seguir, no pueden ser enemigos entre sí, porque el fin de la fe no es encender el odio, sino purificar los corazones.

Embajador Alfredo Maiolese
Presidente de la Liga Musulmana Europea

sabato 30 agosto 2025

Palestinian Refugees and the Duty of Solidarity


English ,Italian ,Français ,Espagnol ,Arabic 

For more than seventy years, the Palestinian people have carried the weight of exile on their shoulders. Entire generations have been born and raised far from their land, living in refugee camps, in host cities, or within a diaspora that has spread across the world. For them, a homeland is not a safe place to return to, but a memory preserved in family stories and in the faith that sustains them.

The tragedy unfolding in Gaza today is not only the destruction of homes and infrastructure, but the erasure of a community’s foundations. Each family displaced, each collapsed school, each child forced to flee adds sorrow to a history already marked by injustice. Yet this reality should not extinguish hope; rather, it should call us to renew our commitment to solidarity.

Islam teaches us that mercy and justice are pillars of community life. Supporting Palestinian refugees is not merely a political matter, but a moral duty that speaks to the hearts of believers and to all people of goodwill. Behind the figures, reports, and headlines, there are men, women, and children whose only wish is to live in dignity, in peace, in a home they can call their own.

The Palestinian diaspora has become a symbol of resilience and patience, but it must not turn into an eternal destiny. Until the right to live safely and securely in their own land is guaranteed, our responsibility is to refuse indifference.

We must remember that the true homeland of every human being is a place where dignity, freedom, and peace prevail. Until this is assured also for the Palestinians, the duty of solidarity remains upon us all.

Italian 
I profughi palestinesi e il dovere della solidarietà

Da oltre settant’anni il popolo palestinese porta sulle proprie spalle il peso dell’esilio. Generazioni intere sono nate e cresciute lontano dalla loro terra, vivendo tra campi profughi, città ospitanti o in una diaspora che ha raggiunto ogni angolo del mondo. Per loro, la patria non è un luogo sicuro in cui tornare, ma un ricordo custodito nella memoria, nei racconti familiari e nella fede che li accompagna.

La tragedia che oggi si vive a Gaza non è solo la distruzione di case e infrastrutture, ma la cancellazione dei punti di riferimento di una comunità che continua a lottare per sopravvivere. Ogni famiglia colpita, ogni scuola crollata, ogni bambino sfollato aggiunge dolore a una storia già segnata dall’ingiustizia. Ma questa realtà non deve spegnere la speranza: al contrario, ci invita a rinnovare l’impegno per la solidarietà.

L’Islam ci insegna che la misericordia e la giustizia sono pilastri della vita comunitaria. Sostenere i rifugiati palestinesi non è soltanto un atto politico, ma un dovere morale che tocca il cuore di ogni credente e di ogni persona di buona volontà. Dietro le cifre, dietro le analisi e le notizie, ci sono uomini, donne e bambini che chiedono soltanto di vivere con dignità, in pace, in una casa che possano chiamare loro.

La diaspora palestinese è divenuta un simbolo di resistenza e di pazienza, ma non può trasformarsi in un destino eterno. Finché non verrà garantito il diritto a una vita sicura e a un futuro nella propria terra, la responsabilità di tutti noi è quella di non restare indifferenti.

Ricordiamo che la vera patria di ogni essere umano è il luogo in cui regnano la dignità, la libertà e la pace. Finché questo non sarà assicurato anche ai palestinesi, il dovere della solidarietà resterà un compito che nessuno può ignorare.

French 

Les réfugiés palestiniens et le devoir de solidarité

Depuis plus de soixante-dix ans, le peuple palestinien porte le poids de l’exil. Des générations entières sont nées et ont grandi loin de leur terre, vivant dans des camps de réfugiés, dans des villes d’accueil ou au sein d’une diaspora présente à travers le monde. Pour eux, la patrie n’est pas un lieu sûr où revenir, mais un souvenir transmis dans les récits familiaux et nourri par la foi qui les soutient.

La tragédie qui se déroule aujourd’hui à Gaza n’est pas seulement la destruction de maisons et d’infrastructures, mais aussi l’effacement des fondements d’une communauté. Chaque famille déplacée, chaque école détruite, chaque enfant contraint de fuir ajoute de la douleur à une histoire déjà marquée par l’injustice. Pourtant, cette réalité ne doit pas éteindre l’espérance ; au contraire, elle doit nous inviter à renouveler notre engagement envers la solidarité.

L’islam nous enseigne que la miséricorde et la justice sont les piliers de la vie communautaire. Soutenir les réfugiés palestiniens n’est pas uniquement une question politique : c’est un devoir moral qui parle au cœur des croyants et de toutes les personnes de bonne volonté. Derrière les chiffres et les gros titres se trouvent des hommes, des femmes et des enfants qui ne souhaitent rien d’autre que vivre dans la dignité, dans la paix, dans une maison qu’ils puissent appeler la leur.

La diaspora palestinienne est devenue un symbole de résilience et de patience, mais elle ne peut se transformer en destin éternel. Tant que le droit de vivre en sécurité sur leur propre terre ne sera pas garanti, notre responsabilité collective est de refuser l’indifférence.

Rappelons-nous que la véritable patrie de chaque être humain est un lieu où règnent la dignité, la liberté et la paix. Tant que cela ne sera pas assuré aussi pour les Palestiniens, le devoir de solidarité restera sur nos épaules.
Spanish 

Los refugiados palestinos y el deber de solidaridad

Desde hace más de setenta años, el pueblo palestino carga sobre sus hombros el peso del exilio. Generaciones enteras han nacido y crecido lejos de su tierra, viviendo en campos de refugiados, en ciudades de acogida o dentro de una diáspora que se ha extendido por todo el mundo. Para ellos, la patria no es un lugar seguro al que regresar, sino un recuerdo guardado en los relatos familiares y en la fe que los sostiene.

La tragedia que hoy vive Gaza no es solamente la destrucción de hogares e infraestructuras, sino también el borrado de los cimientos de una comunidad. Cada familia desplazada, cada escuela derrumbada, cada niño obligado a huir añade dolor a una historia ya marcada por la injusticia. Sin embargo, esta realidad no debe apagar la esperanza; al contrario, debe llamarnos a renovar nuestro compromiso con la solidaridad.

El islam nos enseña que la misericordia y la justicia son pilares de la vida comunitaria. Apoyar a los refugiados palestinos no es solo una cuestión política: es un deber moral que habla al corazón de los creyentes y de todas las personas de buena voluntad. Detrás de las cifras, los informes y los titulares hay hombres, mujeres y niños cuyo único deseo es vivir con dignidad, en paz, en un hogar que puedan llamar suyo.

La diáspora palestina se ha convertido en símbolo de resiliencia y paciencia, pero no puede transformarse en un destino eterno. Mientras no se garantice el derecho a vivir con seguridad en su propia tierra, nuestra responsabilidad es rechazar la indiferencia.

Recordemos que la verdadera patria de todo ser humano es un lugar donde reinen la dignidad, la libertad y la paz. Mientras esto no se asegure también para los palestinos, el deber de solidaridad seguirá estando sobre nuestros hombros.

Arabic 

اللاجئون الفلسطينيون وواجب التضامن

منذ أكثر من سبعين عامًا، يحمل الشعب الفلسطيني على كاهله ثِقَل المنفى. وُلِدت أجيال كاملة ونشأت بعيدًا عن أرضها، عاشت في مخيمات اللاجئين أو في مدن الاستضافة أو داخل الشتات الذي امتد في جميع أنحاء العالم. بالنسبة لهم، ليست الوطن مكانًا آمنًا يمكنهم العودة إليه، بل ذكرى تُحفظ في الروايات العائلية وتغذّيها العقيدة التي تمنحهم الصبر والثبات.

إن المأساة الجارية اليوم في غزة ليست مجرد تدمير للمنازل والبنى التحتية، بل هي محو لأسس مجتمع كامل. كل أسرة مُهجَّرة، وكل مدرسة مهدومة، وكل طفل أُجبر على الفرار يضيف ألمًا جديدًا إلى تاريخ مثقل أصلًا بالظلم. ومع ذلك، لا ينبغي لهذه الحقيقة أن تُطفئ الأمل، بل يجب أن تدعونا جميعًا إلى تجديد التزامنا بالتضامن.

يُعلّمنا الإسلام أن الرحمة والعدل هما ركيزتان أساسيتان في حياة المجتمع. إن دعم اللاجئين الفلسطينيين ليس مجرد قضية سياسية، بل هو واجب أخلاقي يخاطب قلوب المؤمنين وكل إنسان صاحب ضمير حي. وراء الأرقام والتقارير والعناوين هناك رجال ونساء وأطفال لا يتمنون سوى العيش بكرامة وفي سلام، داخل بيت يمكنهم أن يطلقوا عليه اسم "الوطن".

لقد أصبح الشتات الفلسطيني رمزًا للصمود والصبر، لكنه لا يمكن أن يتحول إلى قدر أبدي. فطالما لم يُضمن حق الفلسطينيين في العيش بأمن على أرضهم، تبقى مسؤوليتنا جميعًا أن نرفض اللامبالاة.

فلنتذكر أن الوطن الحقيقي لكل إنسان هو المكان الذي تسود فيه الكرامة والحرية والسلام. وطالما أن هذا لم يتحقق أيضًا للفلسطينيين، فإن واجب التضامن سيظل قائمًا على عاتقنا جميعًا.


venerdì 29 agosto 2025

C'è un solo Dio?


In Italia, e in alcune parti d’Europa, si osserva con frequenza un fenomeno singolare: forze politiche, prive di idee e prospettive reali, cercano consenso attaccando i migranti. A volte le critiche trovano fondamento nelle malefatte di singoli individui; eppure, troppo spesso, si finisce per fare di tutta l’erba un fascio. Così, chi si è integrato solo nei vizi – gioco d’azzardo, prostituzione, alcool – viene equiparato al credente praticante, che invece ama la famiglia, lavora onestamente, contribuisce alla società e, spesso, la arricchisce con nuclei familiari numerosi e coesi.

Ma la vera domanda è un’altra: chi oggi si presenta come “buon cristiano” in politica, segue davvero i precetti del Vangelo? È sposato o convive? Prega con costanza? Rispetta il prossimo, il viandante, il povero, il bisognoso? La politica, creata dall’uomo e non da Dio, troppo spesso divide anziché unire; restringe gli orizzonti invece di allargarli; si concentra sugli interessi di parte piuttosto che sulla giustizia universale. Il vero cristiano, come il vero credente di ogni fede, è colui che si prende cura degli altri senza chiedere documenti, come avviene nelle mense della Caritas, dove l’unico requisito è il bisogno.

Il credente sa che l’essere umano non ha soltanto necessità materiali, ma anche spirituali. Eppure, invece di incentivare i luoghi di culto, si tende a demonizzarli e a stigmatizzarne la presenza. Spesso vengono persino ostacolati con pretesti ridicoli. Recentemente, in merito all’apertura di un centro islamico, un consigliere regionale e uno municipale mi hanno chiesto se fosse previsto un frigorifero per conservare i morti. Ho sorriso ricordando che la normativa italiana (D.P.R. 285/1990, regolamento di polizia mortuaria) disciplina chiaramente questi aspetti, escludendo simili possibilità nei luoghi di culto. Ho quindi invitato sia i rappresentanti sia i cittadini non musulmani a visitare la struttura. La popolazione del quartiere non si è mai presentata, perché ben sapeva che si trattava di un’invenzione alimentata ad arte.

La vera questione resta allora: se crediamo che vi sia un solo Dio, e riconosciamo i profeti che Egli ha inviato nei secoli a popoli diversi, perché non credere anche nell’ultimo Messaggero e nel compimento della Rivelazione?

Chi attacca, denuncia o diffama – a volte in mala fede, altri per semplice ignoranza – non comprende che sta opponendosi non a una comunità, ma a un messaggio universale che richiama all’unità dell’uomo con Dio e soprattutto si rende artefice di contrastare lo stesso Dio.

C’è un solo Dio?
La risposta non può che essere: sì.

E allora, credenti e non credenti, vogliamo davvero combattere lo stesso Dio e la Sua ultima religione?


giovedì 28 agosto 2025

EML Welcomes Pope Leo XIV’s Appeal for Peace in Gaza and Ukraine



The European Muslims League (EML) warmly welcomes the words of Pope Leo XIV, the first North American pontiff, who has recently called on the international community to take responsibility and show courage in pursuing peace in the conflicts of Gaza and Ukraine.

As European Muslims, we share his condemnation of violence against civilians and join in his appeal for an immediate ceasefire, the release of hostages, and the opening of genuine paths of dialogue and reconciliation.

The message of Pope Leo XIV resonates with the universal values upheld by Islam and other faiths: the sanctity of human life, the dignity of peoples, and the duty to protect the innocent.

The EML therefore renews its commitment to fostering interreligious dialogue, cooperation among faith communities, and the diplomacy of peace, so that the cry of the victims will not go unheard and humanity may build together a future founded on justice, solidarity, and mercy.

General Secretariat
European Muslims League (EML)

mercoledì 27 agosto 2025

The Family, Heart of Society


The European Muslims League (EML) reaffirms the importance of the family as the foundation of social and spiritual life. At a time when bonds are fragile and values seem to be dissolving, Islam reminds us that the family is not only a private union but also a covenant of responsibility, love, and justice.

In the Qur’an we read: “And among His signs is that He created for you, from among yourselves, spouses so that you may find tranquility in them; and He placed between you affection and mercy” (Surah 30:21). This verse reminds us that family unity is born of love and strengthened by mutual mercy.

The family is the first school of education, the place where values, faith, and culture are transmitted. It is through the family that children learn respect, solidarity, and responsibility towards others. For this reason, its protection is not only a religious duty but also a social responsibility that concerns everyone.

The EML calls for rediscovering the central role of the family as a space for dialogue, growth, and peace. Within it are preserved the dignity of man and woman, the education of children, and harmony between generations. A society that abandons the family renounces its heart; a society that supports it prepares a future of balance and hope.

European Muslims League
For peace, justice, and the family as a gift of God

lunedì 25 agosto 2025

La Giustizia Divina e l’Illusione del Potere degli Oppressori

Italian, English , French , Spanish, Arabic.


Quando leggiamo i versetti della Sūrat Ibrāhīm (42-52) comprendiamo una grande verità che Allah, gloria a Lui, ci ha lasciato come ammonimento e come conforto.

42. E non credere che Allah sia disattento a quello che fanno gli iniqui. Concede loro una dilazione fino al Giorno in cui i loro sguardi saranno sbarrati.
43. Verranno umiliati, la testa immobile, gli occhi fissi, il cuore smarrito.
44. Avverti le genti [a proposito] del Giorno in cui li colpirà il castigo. [Allora] coloro che saranno stati ingiusti diranno: «O Signor nostro, concedici una breve dilazione: risponderemo al Tuo appello e seguiremo i messaggeri». «Non giuravate dianzi, che per voi non ci sarebbe stato declino?»
45. Eppure abitavate nelle case di coloro che avevano fatto torto a sé stessi, e quel che ne facemmo vi era ben noto. Vi abbiamo citato gli esempi.
46. Tramarono, ma la loro trama è nota ad Allah, foss’anche una trama capace di fare a pezzi le montagne.
47. Non credere che Allah manchi alla promessa fatta ai Suoi messaggeri. Allah è l’Eccelso, il Vendicatore.
48. [Avverrà ciò] nel Giorno in cui la terra sarà trasformata e [parimenti] i cieli, in cui gli uomini compariranno di fronte ad Allah, l’Unico, il Supremo Dominatore.
49. Vedrai in quel Giorno i colpevoli, appaiati nei ceppi:
50. con vesti di catrame e i volti in fiamme.
51. [Così] Allah compenserà ogni anima per ciò che si è meritata, ché in verità Allah è rapido nel conto.
52. Questo è un messaggio per gli uomini, affinché siano avvertiti e sappiano che Egli è il Dio Unico e perché rammentino, i dotati di intelletto.
Queste parole divine ci mostrano che Allah non dimentica e non trascura nulla. Se gli oppressori sembrano vincere, se le loro trame si diffondono sulla terra e i loro eserciti schiacciano i deboli, questo non significa che Allah non veda. Egli concede tempo, perché la Sua sapienza è più grande della nostra comprensione. Questo tempo è occasione di pentimento per chi vuole tornare, ma è anche la prova definitiva per chi persiste nell’ingiustizia.

Agli occhi dell’uomo sembra spesso che il male domini, che i tiranni siano invincibili e che i loro progetti non abbiano ostacoli. Ma è solo un’illusione: anche se le loro macchinazioni fossero così potenti da scuotere le montagne, rimangono sempre sotto il controllo dell’Onnipotente.

La promessa di Allah è certa. I Profeti e i credenti non vengono abbandonati, e verrà il Giorno in cui ogni anima riceverà ciò che ha meritato, con una giustizia assoluta che non trascura nemmeno un granello.

Guardando al nostro tempo, pensiamo alle sofferenze di Gaza e al genocidio che si consuma sotto gli occhi del mondo. A molti sembra che gli oppressori abbiano la meglio e che nessuno possa fermarli. Ma questi versetti ci ricordano che nulla sfugge al dominio di Allah, che i colpevoli non rimarranno impuniti e che la vittoria definitiva appartiene solo a Lui.

Questo messaggio non è soltanto consolazione per chi soffre, ma anche monito per chi governa e per chi porta responsabilità: ogni gesto, anche compiuto nel segreto, sarà portato davanti a Colui che non dimentica e che rende giustizia con perfezione assoluta.

Il cuore del credente trova in queste parole serenità e forza. Sa che la giustizia terrena è fragile e limitata, ma quella divina è sicura e inevitabile. Per questo, anche nelle tenebre più fitte, il credente cammina con speranza: perché la vera vittoria non è nelle mani degli uomini, ma nelle mani di Allah, Signore dei mondi.

English 

Divine Justice and the Illusion of the Oppressors’ Power

When we read the verses of Sūrat Ibrāhīm (42–52) we discover a timeless truth that Allah, glory be to Him, has given us as both a warning and a source of consolation.

42. And never think that Allah is unaware of what the wrongdoers do. He only delays them until a Day when eyes will stare in horror.
43. Racing ahead, their heads raised up, their gaze not returning to them, and their hearts void.
44. And warn the people of the Day when the punishment will come to them; and those who did wrong will say, “Our Lord, delay us for a short term; we will respond to Your call and follow the messengers.” [But it will be said], “Did you not swear before that for you there would be no end?”
45. And you dwelt in the dwellings of those who wronged themselves, and it had become clear to you how We dealt with them; and We presented to you [many] examples.
46. And they planned their plan, but their plan is known to Allah, even if their plan had been [sufficient] to do away with the mountains.
47. So never think that Allah will fail in His promise to His messengers. Indeed, Allah is Exalted in Might and Owner of Retribution.
48. [It will be] on the Day the earth will be replaced by another earth, and the heavens [as well], and all creatures will come forth before Allah, the One, the Irresistible.
49. And you will see the criminals that Day bound together in shackles,
50. Their garments of liquid pitch and their faces covered by the Fire,
51. So that Allah will recompense every soul for what it earned. Indeed, Allah is swift in account.
52. This is a message for mankind that they may be warned thereby and that they may know that He is but One God and that those of understanding will be reminded.
These divine words show us that Allah never forgets and never neglects. When it seems that oppressors triumph, when their schemes spread across the earth and their armies crush the weak, it does not mean that Allah is unaware. He grants them time, for His wisdom is greater than our understanding. This delay is mercy for those who repent, but also a test that fully exposes the arrogance of the unjust.

To human eyes it often seems that evil prevails, that tyrants are invincible, and that their projects face no obstacle. But this is only an illusion: even if their schemes were powerful enough to shake the very mountains, they remain forever under the control of the Almighty.

The promise of Allah is certain. His Prophets and the believers are never abandoned, and the Day will come when every soul will receive what it has earned, with a perfect justice that will not overlook even the smallest deed.

Looking at our present time, we see the suffering of Gaza, where innocents are killed and homes are destroyed. To many it seems that oppressors cannot be stopped. Yet these verses remind us that nothing escapes Allah’s dominion, that the guilty will not remain unpunished, and that the ultimate victory belongs to Him alone.

This message is not only a consolation for those who suffer but also a warning to those in positions of power: every deed, even one done in the deepest secrecy, will be exposed before the One who never forgets and who judges with absolute perfection.

The believer’s heart finds serenity and strength in these words. He knows that human justice is fragile and limited, but divine justice is certain and unavoidable. That is why, even in the darkest of nights, the believer walks with hope: because true victory is never in the hands of men, but only in the hands of Allah, Lord of all worlds.

French

La Justice Divine et l’Illusion du Pouvoir des Oppresseurs

En lisant les versets de la Sourate Ibrâhîm (42-52), nous découvrons une vérité éternelle qu’Allah, gloire à Lui, nous a laissée comme avertissement et comme consolation.

42. Et ne pense pas qu’Allah soit inattentif à ce que font les injustes. Il leur accorde un délai jusqu’au Jour où les regards seront figés.
43. Ils viendront courbés, la tête levée sans pouvoir la bouger, le regard fixe, le cœur vide.
44. Et avertis les gens du Jour où le châtiment les atteindra. Ceux qui auront été injustes diront alors : « Ô notre Seigneur, accorde-nous un court délai : nous répondrons à Ton appel et suivrons les messagers. » – « Ne juriez-vous pas auparavant qu’il n’y aurait jamais pour vous de fin ? »
45. Et vous habitiez dans les demeures de ceux qui s’étaient fait du tort à eux-mêmes, et il vous était devenu clair comment Nous avions agi avec eux. Nous vous avons proposé de nombreux exemples.
46. Ils ont comploté, mais leur complot est connu d’Allah, quand bien même leur complot eût été capable de faire disparaître les montagnes.
47. Ne pense pas qu’Allah manque à Sa promesse envers Ses messagers. Allah est certes Tout-Puissant et Détenteur du châtiment.
48. [Cela arrivera] le Jour où la terre sera remplacée par une autre terre, de même que les cieux, et où les hommes comparaîtront devant Allah, l’Unique, le Dominateur Suprême.
49. Et tu verras, ce Jour-là, les criminels liés ensemble dans les chaînes,
50. Leurs vêtements seront de goudron, et le feu couvrira leurs visages.
51. Afin qu’Allah rétribue chaque âme selon ce qu’elle aura acquis. Allah est prompt dans le compte.
52. Ceci est un message pour les hommes, afin qu’ils soient avertis, qu’ils sachent qu’Il est bien le Dieu Unique, et afin que se rappellent ceux qui sont doués d’intelligence.
Ces versets nous rappellent qu’Allah ne néglige jamais ce que font les injustes. Si la punition semble tarder, ce n’est pas de l’oubli, mais une manifestation de Sa sagesse. Il accorde du temps : du temps pour celui qui veut se repentir, mais aussi du temps qui expose l’arrogance de ceux qui persistent dans l’erreur.

Aux yeux des hommes, il semble souvent que les oppresseurs triomphent et que leurs plans n’ont pas de limite. Mais tout cela n’est qu’une illusion : même si leurs complots pouvaient ébranler les montagnes, ils restent toujours sous le contrôle absolu de l’Omnipotent.

La promesse d’Allah est certaine. Ses prophètes et les croyants ne sont jamais abandonnés. Viendra le Jour où chaque âme recevra ce qu’elle a mérité, et la justice divine se manifestera dans toute sa perfection, sans négliger le moindre détail.

Face à notre époque, et en pensant à la souffrance de Gaza où des innocents sont massacrés et des maisons détruites, ces versets nous apportent une consolation immense. Rien n’échappe au regard d’Allah, et les coupables ne resteront pas impunis.

Ce message est à la fois un avertissement pour ceux qui commettent l’injustice et un réconfort pour les opprimés. Car le croyant sait que la justice humaine est fragile, mais que la justice d’Allah est infaillible et inévitable. Ainsi, même dans les ténèbres les plus épaisses, il garde l’espérance, car la victoire finale n’appartient pas aux hommes mais uniquement à Allah, Seigneur des mondes.

Spanish 

La Justicia Divina y la Ilusión del Poder de los Opresores

Al leer los versículos de la Sura Ibrāhīm (42-52) comprendemos una verdad eterna que Allah, glorificado sea, nos ha dejado como advertencia y como consuelo.

42. Y no creas que Allah está despreocupado de lo que hacen los injustos. Les concede un plazo hasta el Día en que las miradas quedarán fijas de terror.
43. Vendrán humillados, con la cabeza levantada sin poder moverla, con la mirada fija y el corazón vacío.
44. Advierte a la gente del Día en que les alcanzará el castigo. Entonces los injustos dirán: «¡Oh, Señor nuestro! Danos un breve plazo: responderemos a Tu llamado y seguiremos a los mensajeros». [Pero se les dirá:] «¿Acaso no jurabais antes que no habría para vosotros declive?»
45. Y habitabais en las moradas de quienes se hicieron daño a sí mismos, y os fue evidente cómo actuamos con ellos. Os presentamos ejemplos claros.
46. Y tramaron, pero su trama es conocida por Allah, aunque fuese una trama capaz de hacer desaparecer las montañas.
47. No pienses que Allah falta a Su promesa hecha a Sus mensajeros. Ciertamente Allah es Poderoso, Dueño del castigo.
48. [Esto ocurrirá] el Día en que la tierra será transformada en otra tierra, y también los cielos, y los hombres comparecerán ante Allah, el Único, el Dominador Supremo.
49. Ese Día verás a los criminales encadenados entre sí,
50. con vestiduras de alquitrán y los rostros cubiertos por el fuego,
51. para que Allah retribuya a cada alma según lo que haya merecido. En verdad, Allah es rápido en ajustar cuentas.
52. Este es un mensaje para la humanidad, para que sean advertidos, para que sepan que Él es el Dios Único, y para que lo recuerden los dotados de entendimiento.
Estos versículos nos muestran que Allah nunca olvida ni descuida nada. Aunque parezca que los opresores triunfan, que sus planes avanzan sin freno y que los débiles son aplastados, la realidad es que Allah les concede un tiempo. Ese tiempo es misericordia para quienes desean arrepentirse, pero también es la prueba definitiva para quienes persisten en la arrogancia.

A los ojos humanos, a menudo parece que el mal domina y que los tiranos son invencibles. Pero esto es sólo una ilusión: incluso si sus complots fueran capaces de sacudir las montañas, siguen estando bajo el dominio absoluto del Altísimo.

La promesa de Allah es segura. Sus profetas y los creyentes nunca son abandonados. Llegará el Día en que cada alma recibirá lo que se haya ganado, y la justicia divina se manifestará con perfección absoluta, sin dejar pasar ni el más mínimo detalle.

Al mirar nuestra realidad actual, pensamos en Gaza, donde los inocentes son asesinados y los hogares destruidos. A muchos les parece que los opresores no pueden ser detenidos. Pero estos versículos nos recuerdan que nada escapa al dominio de Allah, que los culpables no quedarán impunes y que la victoria final pertenece solo a Él.

Este mensaje es al mismo tiempo advertencia para los injustos y consuelo para los oprimidos. El creyente sabe que la justicia humana es frágil, pero la justicia de Allah es infalible e inevitable. Por eso, incluso en la noche más oscura, camina con esperanza: porque la verdadera victoria no está en manos de los hombres, sino únicamente en manos de Allah, Señor de los mundos.

Arabic 

العدالة الإلهية ووهم قوة الظالمين

عند قراءة آيات سورة إبراهيم (42 – 52) ندرك حقيقة أزلية تركها الله سبحانه وتعالى لنا لتكون تحذيراً وعزاءً في الوقت نفسه.

٤٢ ﴿وَلَا تَحْسَبَنَّ ٱللَّهَ غَافِلٗا عَمَّا يَعْمَلُ ٱلظَّٰلِمُونَۚ إِنَّمَا يُؤَخِّرُهُمْ لِيَوْمٖ تَشْخَصُ فِيهِ ٱلۡأَبۡصَٰرُ﴾
٤٣ ﴿مُهۡطِعِينَ مُقۡنِعِي رُءُوسِهِمۡ لَا يَرۡتَدُّ إِلَيۡهِمۡ طَرۡفُهُمۡ وَأَفۡـِٔدَتُهُمۡ هَوَآءٞ﴾
٤٤ ﴿وَأَنذِرِ ٱلنَّاسَ يَوۡمَ يَأۡتِيهِمُ ٱلۡعَذَابُ فَيَقُولُ ٱلَّذِينَ ظَلَمُواْ رَبَّنَآ أَخِّرۡنَآ إِلَىٰٓ أَجَلٖ قَرِيبٖ نُّجِبۡ دَعۡوَتَكَ وَنَتَّبِعِ ٱلرُّسُلَۗ أَوَ لَمۡ تَكُونُواْ أَقۡسَمۡتُم مِّن قَبۡلُ مَا لَكُم مِّن زَوَالٖ﴾
٤٥ ﴿وَسَكَنْتُمْ فِي مَسَٰكِنِ ٱلَّذِينَ ظَلَمُوٓاْ أَنفُسَهُمْ وَتَبَيَّنَ لَكُمْ كَيْفَ فَعَلْنَا بِهِمْ وَضَرَبْنَا لَكُمُ ٱلۡأَمْثَالَ﴾
٤٦ ﴿وَقَدْ مَكَرُواْ مَكْرَهُمْ وَعِندَ ٱللَّهِ مَكْرُهُمْ وَإِن كَانَ مَكْرُهُمْ لِتَزُولَ مِنْهُ ٱلْجِبَالُ﴾
٤٧ ﴿فَلَا تَحْسَبَنَّ ٱللَّهَ مُخْلِفَ وَعْدِهِۦ رُسُلَهُۥٓۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَزِيزٞ ذُو ٱنتِقَامٖ﴾
٤٨ ﴿يَوْمَ تُبَدَّلُ ٱلۡأَرْضُ غَيْرَ ٱلۡأَرْضِ وَٱلسَّمَٰوَٰتُ وَبَرَزُواْ لِلَّهِ ٱلۡوَٰحِدِ ٱلۡقَهَّارِ﴾
٤٩ ﴿وَتَرَى ٱلۡمُجۡرِمِينَ يَوْمَئِذٖ مُّقَرَّنِينَ فِي ٱلۡأَصْفَادِ﴾
٥٠ ﴿سَرَابِيلُهُم مِّن قَطِرَانٖ وَتَغۡشَىٰ وُجُوهَهُمُ ٱلنَّارُ﴾
٥١ ﴿لِيَجۡزِيَ ٱللَّهُ كُلَّ نَفۡسٖ مَّا كَسَبَتۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ سَرِيعُ ٱلۡحِسَابِ﴾
٥٢ ﴿هَٰذَا بَلَٰغٞ لِّلنَّاسِ وَلِيُنذَرُواْ بِهِۦ وَلِيَعۡلَمُوٓاْ أَنَّمَا هُوَ إِلَٰهٞ وَٰحِدٞ وَلِيَذَّكَّرَ أُو۟لُواْ ٱلۡأَلۡبَٰبِ﴾

هذه الكلمات الإلهية تبيّن أن الله تعالى لا يغفل عن أعمال الظالمين. وإن تأخر العقاب، فليس ذلك غفلة بل حكمة، فهو يمنح مهلة للتوبة ويكشف حقيقة من أصرّ على الجحود والعدوان.

يخيّل للناس أحياناً أن الطغاة لا يُهزمون وأن قوتهم لا تحدّ، لكن هذا وهم. حتى لو كانت مكائدهم تهزّ الجبال، فإنها لا تخرج عن سلطان الله القهّار.

وعد الله حق، فلا يُخلف وعده لرسله وللمؤمنين. سيأتي اليوم الذي تُحاسب فيه كل نفس على ما قدمت، وتتحقق العدالة الإلهية الكاملة التي لا تغفل عن صغيرة ولا كبيرة.

وفي زماننا، حين ننظر إلى ما يحدث في غزة من قتل الأبرياء وتدمير البيوت، نجد في هذه الآيات عزاءً عظيماً للمؤمنين. فالله يراقب، والظالمون لن يفلتوا من جزائه، والنصر النهائي بيده وحده.

إنها رسالة مزدوجة: إنذار للظالمين وبشارة للمظلومين. فالمؤمن يعلم أن عدل البشر محدود، أما عدل الله فلا يزول ولا يُهزم. لذلك يبقى قلبه ثابتاً بالأمل، لأنه واثق أن النصر الحقيقي ليس بيد البشر، بل بيد الله رب العالمين.

domenica 24 agosto 2025

Statement on the Tragedy in Gaza



The European Muslim League (EML), as a religious and diplomatic organization, raises its voice to denounce the grave violations of international law currently taking place in Gaza.

Health authorities report more than 60,000 victims and tens of thousands of wounded. The destruction of housing has reached 92% of residential infrastructure, rendering the Strip almost uninhabitable.

Our principle is clear: no State may, under international law, expel a people from its land or appropriate its property.

The Fourth Geneva Convention explicitly prohibits deportations, forced transfers, and the demolition of civilian housing. The justification of “counter-terrorism” does not legitimize such acts; rather, it aggravates them before the conscience of humanity.

The EML calls on all religious, political, and diplomatic leaders to uphold their moral responsibility by:

Defending human dignity and the inalienable rights of every person;

Condemning the systematic destruction of civilian homes;

Working for a just peace based not on injustice, but on mutual respect and international legality.

Issued by the Presidency – European Muslims League (EML)

sabato 23 agosto 2025

International Day Commemorating the Victims of Acts of Violence Based on Religion or Belief



22 August – European Muslims League

On 22 August each year, the United Nations has proclaimed the International Day Commemorating the Victims of Acts of Violence Based on Religion or Belief.
This day serves as a reminder of the many men, women and children who, in different parts of the world, have suffered persecution, discrimination or even death simply because of their faith or spiritual conviction.

Freedom of religion or belief, freedom of opinion and expression, and the right to peaceful assembly are fundamental rights enshrined in the Universal Declaration of Human Rights. Protecting them means strengthening democracy and building more just societies based on mutual respect and peaceful coexistence.

Unfortunately, in many parts of the world, we still witness violence against individuals and religious communities: attacks on places of worship, persecution of minorities, and discrimination in workplaces and social life. United Nations Member States have reaffirmed that no act of terrorism or violent extremism can ever be associated with any religion, nationality, civilization, or ethnic group.

On this occasion, the European Muslims League (EML) joins in remembering the victims and renews its commitment to promoting interreligious and intercultural dialogue, rejecting all forms of hatred and discrimination, and defending the right of every person to live their faith in freedom and security. We believe that only through mutual respect and collaboration among diverse communities can lasting peace be achieved.

The commemoration of 22 August is not only about remembrance, but also a call to action. Every society, institution and individual has the responsibility to contribute to a world where no one should suffer because of their religion or belief.

The European Muslims League invites everyone to observe this day with reflection, prayer, and concrete commitment against intolerance and in favour of the promotion of universal human rights.

---
Journée internationale pour commémorer les victimes d’actes de violence fondés sur la religion ou la conviction

22 août – European Muslims League

Le 22 août de chaque année, les Nations Unies ont proclamé la Journée internationale pour commémorer les victimes d’actes de violence fondés sur la religion ou la conviction.
Cette journée rappelle les nombreux hommes, femmes et enfants qui, dans différentes parties du monde, ont souffert de persécutions, de discriminations ou même de la mort simplement à cause de leur foi ou de leur conviction spirituelle.

La liberté de religion ou de conviction, la liberté d’opinion et d’expression et le droit de réunion pacifique sont des droits fondamentaux consacrés par la Déclaration universelle des droits de l’homme. Les protéger signifie renforcer la démocratie et construire des sociétés plus justes, fondées sur le respect mutuel et la coexistence pacifique.

Malheureusement, dans de nombreuses régions du monde, nous assistons encore à des violences contre des individus et des communautés religieuses : attaques contre des lieux de culte, persécutions de minorités et discriminations dans la vie professionnelle et sociale. Les États Membres des Nations Unies ont réaffirmé qu’aucun acte de terrorisme ou d’extrémisme violent ne peut être associé à une religion, une nationalité, une civilisation ou un groupe ethnique.

À cette occasion, la European Muslims League (EML) s’associe au souvenir des victimes et renouvelle son engagement à promouvoir le dialogue interreligieux et interculturel, à rejeter toutes les formes de haine et de discrimination et à défendre le droit de toute personne à vivre sa foi en liberté et en sécurité. Nous croyons que seule la collaboration entre des communautés diverses, dans le respect mutuel, peut conduire à une paix durable.

La commémoration du 22 août n’est pas seulement un moment de mémoire, mais aussi un appel à l’action. Chaque société, chaque institution et chaque individu a la responsabilité de contribuer à un monde où personne ne devrait souffrir à cause de sa religion ou de sa conviction.

La European Muslims League invite chacun à marquer cette journée par la réflexion, la prière et un engagement concret contre l’intolérance et en faveur de la promotion des droits humains universels.
Giornata Internazionale per Commemorare le Vittime di Atti di Violenza basati sulla Religione o sul Credo

22 agosto – European Muslims League

Il 22 agosto di ogni anno, le Nazioni Unite hanno proclamato la Giornata Internazionale per Commemorare le Vittime di Atti di Violenza basati sulla Religione o sul Credo.
Questa ricorrenza intende ricordare i tanti uomini, donne e bambini che in diverse parti del mondo hanno subito persecuzioni, discriminazioni o addirittura la morte soltanto per la loro fede o convinzione spirituale.

La libertà di religione o di credo, la libertà di opinione e di espressione e il diritto di riunirsi pacificamente rappresentano diritti fondamentali sanciti dalla Dichiarazione Universale dei Diritti Umani. Difenderli significa rafforzare la democrazia e costruire società più giuste, fondate sul rispetto reciproco e sulla convivenza pacifica.

Purtroppo, in molte aree del pianeta assistiamo ancora a violenze contro persone e comunità religiose: attacchi a luoghi di culto, persecuzioni di minoranze, discriminazioni nei luoghi di lavoro e nella vita sociale. Gli Stati Membri delle Nazioni Unite hanno ribadito con forza che nessun atto di terrorismo o di estremismo violento può essere associato ad alcuna religione, nazionalità, civiltà o gruppo etnico.

In questa occasione, la European Muslims League (EML) si unisce al ricordo delle vittime e rinnova il proprio impegno a promuovere il dialogo interreligioso e interculturale, il rifiuto di ogni forma di odio e discriminazione e la difesa del diritto di ogni persona a vivere la propria fede in libertà e sicurezza. Crediamo che solo attraverso il rispetto reciproco e la collaborazione tra comunità diverse sia possibile costruire una pace duratura.

La commemorazione del 22 agosto non è soltanto memoria, ma un appello all’azione. Ogni società, ogni istituzione e ogni individuo ha la responsabilità di contribuire a un mondo in cui nessuno debba più soffrire a causa della propria religione o del proprio credo.

La European Muslims League invita tutti a partecipare a questa giornata con riflessione, preghiera e impegno concreto contro l’intolleranza e per la promozione dei diritti umani universali.

---

Día Internacional de Conmemoración de las Víctimas de Actos de Violencia basados en la Religión o las Creencias

22 de agosto – European Muslims League

El 22 de agosto de cada año, las Naciones Unidas han proclamado el Día Internacional de Conmemoración de las Víctimas de Actos de Violencia basados en la Religión o las Creencias.
Este día recuerda a los numerosos hombres, mujeres y niños que, en diferentes partes del mundo, han sufrido persecución, discriminación o incluso la muerte, simplemente por su fe o convicción espiritual.

La libertad de religión o de creencias, la libertad de opinión y de expresión y el derecho de reunión pacífica son derechos fundamentales consagrados en la Declaración Universal de los Derechos Humanos. Protegerlos significa fortalecer la democracia y construir sociedades más justas, basadas en el respeto mutuo y la convivencia pacífica.

Lamentablemente, en muchas partes del mundo seguimos siendo testigos de violencia contra individuos y comunidades religiosas: ataques a lugares de culto, persecución de minorías y discriminación en la vida laboral y social. Los Estados Miembros de las Naciones Unidas han reafirmado que ningún acto de terrorismo o extremismo violento puede asociarse jamás a ninguna religión, nacionalidad, civilización o grupo étnico.

En esta ocasión, la European Muslims League (EML) se une al recuerdo de las víctimas y renueva su compromiso de promover el diálogo interreligioso e intercultural, rechazar toda forma de odio y discriminación y defender el derecho de cada persona a vivir su fe en libertad y seguridad. Creemos que solo mediante el respeto mutuo y la colaboración entre comunidades diversas puede lograrse una paz duradera.

La conmemoración del 22 de agosto no es solo memoria, sino también un llamado a la acción. Cada sociedad, cada institución y cada individuo tiene la responsabilidad de contribuir a un mundo donde nadie deba sufrir a causa de su religión o creencias.

La European Muslims League invita a todos a observar este día con reflexión, oración y un compromiso concreto contra la intolerancia y a favor de la promoción de los derechos humanos universales.



giovedì 21 agosto 2025

Preserving the Earth: A Sacred Duty


by Amb. Alfredo Maiolese, President of the European Muslim League (EML)

Every day we receive unmistakable signs: glaciers melting, seas poisoned, forests destroyed, storms devastating cities and villages. Can we not understand that God is speaking to us through these signs?

The question of protecting creation is not only ecological, but deeply spiritual. The three great monotheistic religions left us clear guidance.

In the Torah we read:
“The Lord God took the man and put him in the Garden of Eden to work it and take care of it.” (Genesis 2:15)
The Garden of Eden was not heaven in the afterlife, but a place on Earth, entrusted to humankind to cultivate and protect. A responsibility, not ownership.

In the Gospel Jesus warns:
“For what will it profit a man if he gains the whole world yet forfeits his soul?” (Matthew 16:26)
Profit without ethics leads only to destruction.

In the Qur’an we read:
“It is He who has made you successors upon the earth…” (Surah 6:165)
Human beings are trustees, not absolute masters.

The urgent question is: can we still save the Earth?

We all live on this fragile sphere suspended in space. No one will escape the consequences: neither poor nor rich, neither those who pollute nor those who suffer. Even those who devastate the Earth for the sake of profit will end up endangering their own children.

As Muslims, and as believers in God, we have a duty: to remember that the Earth is an amanah, a sacred trust given to humanity. It does not belong to us — it has been placed in our care, and one day we will be held accountable.

The future of our planet is not only a matter of science, but of conscience. If we listen to God’s call, we can still change our path. But if we continue to ignore it, we will be remembered as the generation that betrayed the greatest gift: our Earth.

Italian 
Custodire la Terra: un dovere sacro

di Amb. Alfredo Maiolese, Presidente della European Muslim League (EML)

Ogni giorno riceviamo segnali inequivocabili: ghiacciai che si sciolgono, mari avvelenati, foreste distrutte, tempeste che travolgono città e villaggi. Possibile che non comprendiamo che Dio ci sta parlando attraverso questi segni?

Il tema della custodia del creato non è solo ecologico, ma profondamente spirituale. Le tre grandi religioni monoteiste ci hanno lasciato parole chiare.

Nella Torah leggiamo:
“Il Signore Dio prese l’uomo e lo pose nel giardino di Eden, perché lo coltivasse e lo custodisse.” (Genesi 2,15)
Il giardino di Eden non era il paradiso dell’aldilà, ma un luogo sulla Terra, affidato all’uomo perché lo coltivasse e lo proteggesse. Una responsabilità, non un possesso.

Nel Vangelo Gesù ammonisce:
“Che giova all’uomo guadagnare il mondo intero se poi perde la propria vita?” (Matteo 16,26)
Il profitto senza etica porta solo alla distruzione.

Nel Corano leggiamo:
“Egli è Colui che vi ha resi vicari sulla Terra…” (Sura 6:165)
L’uomo è un custode, non un padrone assoluto.

La domanda allora è urgente: possiamo ancora salvare la Terra?

Viviamo tutti su questa fragile sfera sospesa nello spazio. Nessuno potrà sfuggire alle conseguenze: né il povero né il ricco, né chi inquina né chi subisce. Persino chi oggi devasta la Terra per il solo profitto finirà per mettere a rischio i propri figli.

Come musulmani, e come credenti in Dio, abbiamo un dovere: ricordare che la Terra è un amanah, un deposito sacro affidato all’umanità. Non ci appartiene: ci è stata data in custodia e un giorno ne renderemo conto.

Il futuro del pianeta non è solo una questione di scienza, ma di coscienza. Se ascolteremo il richiamo di Dio, potremo ancora cambiare rotta. Ma se continueremo a ignorarlo, saremo ricordati come la generazione che ha tradito il dono più grande: la nostra Terra.


domenica 17 agosto 2025

Solidarity in Action: European Muslims Facing the Global Humanitarian Emergency


According to United Nations estimates, in 2025 more than 305 million people worldwide are in urgent need of humanitarian assistance due to conflicts, famine, and climate change. The wars in Sudan, Gaza, and Ukraine have displaced millions and caused countless civilian casualties. At the same time, food insecurity is relentlessly increasing, affecting around 280 million individuals, while famine devastates countries such as Sudan and Haiti.

Moreover, the planet is approaching the critical threshold of 1.5°C global warming, leading to increasingly severe consequences: droughts, floods, and natural disasters have already forced 90 million people to leave their homes.

In the face of these historic challenges, the European Muslim League (EML) calls on Muslims in Europe, as well as European institutions, to respond with solidarity, cooperation, and shared responsibility.

Islam reminds us that charity and support for those in need are fundamental duties. The Prophet Muhammad (peace and blessings be upon him) said:

“He is not a believer whose stomach is filled while the neighbor to his side goes hungry.” (Hadith – Sahih Bukhari)
In this spirit, the European Muslim community is called to do its part by contributing to humanitarian projects, supporting relief initiatives, and promoting a culture of peace and justice.

Solidarity is not only a religious principle but also a universal value that must guide our societies. The EML will continue to work to strengthen the role of European Muslims as active participants in building a fairer world, where no human being is left behind.

Amb. Alfredo Maiolese
President
European Muslim League

giovedì 14 agosto 2025

14 Agosto – Settima commemorazione del crollo del Ponte Morandi


Oggi, 14 agosto 2025, si è svolta a Genova la settima commemorazione della tragedia del Ponte Morandi, un momento di raccoglimento e memoria per le 43 vittime e per tutta la comunità cittadina.

La European Muslim League ha preso parte alla cerimonia su invito ufficiale, rappresentata dal Presidente, Ambasciatore Alfredo Maiolese, che è anche coordinatore della Comunità Islamica di Genova confermando ancora una volta l’impegno dell’organizzazione a essere presente nei momenti più significativi della vita civile e istituzionale.

Durante l’evento, il Presidente Maiolese ha incontrato numerose autorità italiane, tra cui la nuova Sindaca di Genova, Silvia Salis, alla sua prima commemorazione ufficiale nel ruolo. La fascia tricolore che indossava ha rappresentato simbolicamente la continuità dell’impegno delle istituzioni verso la memoria e la giustizia.

La cerimonia si è svolta accanto al Memoriale 14.08.2018, alla presenza delle famiglie delle vittime, delle autorità civili, religiose e militari. Momenti particolarmente toccanti sono stati il minuto di silenzio, scandito dal suono delle sirene delle navi in porto e dai rintocchi delle campane, e gli interventi istituzionali che hanno richiamato all’importanza di mantenere viva la memoria e di proseguire il lavoro per garantire sicurezza e prevenzione.

La partecipazione della European Muslim League a questa commemorazione ribadisce il valore del dialogo, della solidarietà e del rispetto delle istituzioni, principi fondamentali per costruire comunità più coese e consapevoli.

Today, August 14, 2025, the seventh commemoration of the Morandi Bridge tragedy was held in Genoa — a moment of remembrance and reflection for the 43 victims and for the entire community.

The European Muslim League took part in the ceremony by official invitation, represented by its President, Ambassador Alfredo Maiolese, once again confirming the organization’s commitment to being present at the most significant moments of civic and institutional life.

During the event, President Maiolese met with several Italian authorities, including the new Mayor of Genoa, Silvia Salis, attending her first official commemoration in office. The tricolor sash she wore symbolically represented the continuity of the institutions’ commitment to memory and justice.

The ceremony took place next to the 14.08.2018 Memorial, in the presence of the victims’ families and civil, religious, and military authorities. Particularly moving moments included the minute of silence, marked by the sound of ship sirens in the port and the tolling of bells, as well as the official speeches that stressed the importance of keeping memory alive and continuing efforts to ensure safety and prevention.

The participation of the European Muslim League in this commemoration reaffirms the value of dialogue, solidarity, and respect for institutions — fundamental principles for building stronger and more aware communities.



domenica 10 agosto 2025

Believer or extremist? A truth that concerns Jews, Christians, and Muslims

English, Italian, Français, Espagnol 

English

Believer or extremist? A truth that concerns Jews, Christians, and Muslims

In the debate on the Israeli-Palestinian conflict, public opinion is often confused: the actions of governments or extremist groups are attributed to entire Jewish, Christian, or Muslim communities, creating division and mistrust. It is essential to distinguish between the true believer and the extremist who uses religion as a political tool.

Many Jews and Christians around the world openly condemn violence and policies of occupation. The Jewish movement Neturei Karta, founded in 1938, declared that “true Judaism cannot accept political Zionism.” Jewish intellectual Noam Chomsky has described the occupation of Palestinian territories as “an international crime,” while Israeli historian Ilan Pappé has referred to the events of 1948 as “ethnic cleansing.” The group Jewish Voice for Peace has affirmed that Israel’s security cannot be used to justify permanent occupation. On the Christian side, South African Archbishop Desmond Tutu warned: “If you are neutral in situations of injustice, you have chosen the side of the oppressor.”

Christian Zionism today is a global movement counting over 600 million believers, mostly evangelical, with more than 120 million in Latin America and over 100 million in North America. Their support for Israel is total: they organize trips, raise funds, and apply constant political pressure. This vision is based on a literal interpretation of certain biblical verses, read as prophecies about the return of Christ, and sees the creation of the State of Israel in 1948 as divinely ordained.

It is important to clarify that this is a modern and politicized interpretation, born in evangelical circles in the 19th century and spread mainly in the United States. It does not represent the universal teaching of Christianity, nor does it reflect the message of the Gospel, which has never justified oppression or violence to maintain the privileges of one people at the expense of another. Many Christians reject this reading, following the example of figures like Archbishop Desmond Tutu, defending the right of Palestinians to live in peace and freedom, believing that true fidelity to the Gospel consists in justice for all.

The mechanism is no different from that used by ISIS, which distorted the Qur’an to justify violence and conquest. In all cases, faith is bent to political and territorial purposes, far from the original spirit of divine revelation.

International law is clear. UN Resolutions 242 (1967) and 338 (1973) call for withdrawal from occupied territories and recognize the Palestinians’ right to a sovereign state. The Universal Declaration of Human Rights affirms the equality and self-determination of all peoples, while the International Court of Justice, in its 2004 advisory opinion, deemed the colonization of the Occupied Territories illegal.

Distinguishing between faith and fanaticism is not just an intellectual exercise, but a moral duty. Extremism, wherever it arises, is the enemy of peace. Only by recognizing this truth can we build coexistence based on justice, truth, and mutual respect.

"We must distinguish between a person's faith — as all religions call for love, justice, and cooperation — and the extremist strategies pursued by some who claim to be believers."

Italian

Credente o estremista? Una verità che riguarda ebrei, cristiani e musulmani

Nel dibattito sul conflitto israelo-palestinese, l’opinione pubblica è spesso confusa: le azioni di governi o gruppi estremisti vengono attribuite all’intera comunità ebraica, cristiana o musulmana, generando divisioni e diffidenza. È fondamentale distinguere tra il credente autentico e l’estremista che usa la religione come strumento politico.

Molti ebrei e cristiani, in tutto il mondo, condannano apertamente le violenze e le politiche di occupazione. Il movimento ebraico Neturei Karta, fondato nel 1938, ha dichiarato che “il vero ebraismo non può accettare il sionismo politico”. L’intellettuale ebreo Noam Chomsky ha definito l’occupazione dei territori palestinesi “un crimine internazionale”, mentre lo storico israeliano Ilan Pappé ha descritto il 1948 come un atto di “pulizia etnica”. Anche il gruppo Jewish Voice for Peace ha ribadito che la sicurezza di Israele non può essere usata per giustificare un’occupazione permanente. Sul versante cristiano, l’arcivescovo sudafricano Desmond Tutu ammonì che “se sei neutrale in situazioni di ingiustizia, hai scelto la parte dell’oppressore”.

Il sionismo cristiano è oggi un movimento globale che conta oltre 600 milioni di fedeli, per la maggior parte evangelici, con più di 120 milioni in America Latina e oltre 100 milioni in Nord America. Il loro sostegno a Israele è totale: organizzano viaggi, raccolgono fondi ed esercitano pressioni politiche costanti. Questa visione si basa su un’interpretazione letterale di alcuni versetti biblici, letti come profezie sul ritorno di Cristo, e vede nella nascita dello Stato di Israele nel 1948 un compimento voluto da Dio.

È importante chiarire che si tratta di un’interpretazione moderna e politicizzata, nata in ambienti evangelici nell’Ottocento e diffusa soprattutto negli Stati Uniti. Non rappresenta l’insegnamento universale del cristianesimo, né riflette il messaggio del Vangelo, che non ha mai giustificato l’oppressione o la violenza per mantenere privilegi di un popolo a scapito di un altro. Molti cristiani rifiutano questa lettura e seguono l’esempio di figure come l’arcivescovo Desmond Tutu, difendendo il diritto dei palestinesi a vivere in pace e libertà, credendo che la vera fedeltà al Vangelo consista nella giustizia per tutti.

Il meccanismo non è diverso da quello usato dall’ISIS, che ha distorto il Corano per giustificare violenze e conquiste. In tutti i casi, la fede viene piegata a scopi politici e territoriali, lontani dallo spirito originario della rivelazione.

Il diritto internazionale è chiaro. Le Risoluzioni ONU 242 del 1967 e 338 del 1973 chiedono il ritiro dai territori occupati e riconoscono il diritto dei palestinesi a uno Stato sovrano. La Dichiarazione Universale dei Diritti Umani sancisce l’uguaglianza e l’autodeterminazione di tutti i popoli, mentre la Corte Internazionale di Giustizia, nel parere consultivo del 2004, ha definito illegale la colonizzazione dei Territori Occupati.

Distinguere tra fede e fanatismo non è solo un esercizio intellettuale, ma un dovere morale. L’estremismo, ovunque nasca, è nemico della pace. Solo riconoscendo questa verità potremo costruire una convivenza fondata su giustizia, verità e rispetto reciproco.

"Dobbiamo distinguere tra la fede di una persona — poiché tutte le religioni richiamano all’amore, alla giustizia e alla cooperazione — e le strategie estremiste perseguite da alcuni che si dichiarano credenti."
Français

Croyant ou extrémiste ? Une vérité qui concerne juifs, chrétiens et musulmans

Dans le débat sur le conflit israélo-palestinien, l’opinion publique est souvent confuse : les actions de gouvernements ou de groupes extrémistes sont attribuées à l’ensemble des communautés juive, chrétienne ou musulmane, ce qui crée division et méfiance. Il est essentiel de distinguer entre le croyant authentique et l’extrémiste qui utilise la religion comme outil politique.

De nombreux juifs et chrétiens dans le monde condamnent ouvertement la violence et les politiques d’occupation. Le mouvement juif Neturei Karta, fondé en 1938, a déclaré que « le vrai judaïsme ne peut accepter le sionisme politique ». L’intellectuel juif Noam Chomsky a qualifié l’occupation des territoires palestiniens de « crime international », tandis que l’historien israélien Ilan Pappé a décrit 1948 comme un acte de « nettoyage ethnique ». Le groupe Jewish Voice for Peace a affirmé que la sécurité d’Israël ne peut être utilisée pour justifier une occupation permanente. Du côté chrétien, l’archevêque sud-africain Desmond Tutu a averti : « Si vous êtes neutre dans des situations d’injustice, vous avez choisi le camp de l’oppresseur. »

Le sionisme chrétien est aujourd’hui un mouvement mondial comptant plus de 600 millions de fidèles, principalement évangéliques, dont plus de 120 millions en Amérique latine et plus de 100 millions en Amérique du Nord. Leur soutien à Israël est total : ils organisent des voyages, collectent des fonds et exercent une pression politique constante. Cette vision repose sur une interprétation littérale de certains versets bibliques, lus comme des prophéties sur le retour du Christ, et voit dans la création de l’État d’Israël en 1948 un accomplissement voulu par Dieu.

Il est important de préciser qu’il s’agit d’une interprétation moderne et politisée, née dans les milieux évangéliques au XIXe siècle et diffusée principalement aux États-Unis. Elle ne représente pas l’enseignement universel du christianisme et ne reflète pas le message de l’Évangile, qui n’a jamais justifié l’oppression ou la violence pour maintenir les privilèges d’un peuple au détriment d’un autre. De nombreux chrétiens rejettent cette lecture et suivent l’exemple de figures comme l’archevêque Desmond Tutu, défendant le droit des Palestiniens à vivre en paix et en liberté, convaincus que la véritable fidélité à l’Évangile réside dans la justice pour tous.

Le mécanisme n’est pas différent de celui utilisé par Daech, qui a déformé le Coran pour justifier la violence et la conquête. Dans tous les cas, la foi est détournée à des fins politiques et territoriales, loin de l’esprit originel de la révélation divine.

Le droit international est clair. Les résolutions de l’ONU 242 (1967) et 338 (1973) exigent le retrait des territoires occupés et reconnaissent le droit des Palestiniens à un État souverain. La Déclaration universelle des droits de l’homme consacre l’égalité et l’autodétermination de tous les peuples, tandis que la Cour internationale de justice, dans son avis consultatif de 2004, a jugé illégale la colonisation des territoires occupés.

Distinguer la foi du fanatisme n’est pas seulement un exercice intellectuel, mais un devoir moral. L’extrémisme, où qu’il apparaisse, est l’ennemi de la paix. Ce n’est qu’en reconnaissant cette vérité que nous pourrons construire une coexistence fondée sur la justice, la vérité et le respect mutuel.

"Nous devons distinguer entre la foi d'une personne — puisque toutes les religions appellent à l'amour, à la justice et à la coopération — et les stratégies extrémistes poursuivies par certains qui prétendent être croyants."


Español
¿Creyente o extremista? Una verdad que concierne a judíos, cristianos y musulmanes

En el debate sobre el conflicto israelo-palestino, la opinión pública suele estar confundida: las acciones de gobiernos o grupos extremistas se atribuyen a comunidades judías, cristianas o musulmanas en su conjunto, generando división y desconfianza. Es fundamental distinguir entre el creyente auténtico y el extremista que utiliza la religión como herramienta política.

Muchos judíos y cristianos en todo el mundo condenan abiertamente la violencia y las políticas de ocupación. El movimiento judío Neturei Karta, fundado en 1938, declaró que “el verdadero judaísmo no puede aceptar el sionismo político”. El intelectual judío Noam Chomsky ha calificado la ocupación de los territorios palestinos como “un crimen internacional”, mientras que el historiador israelí Ilan Pappé ha descrito 1948 como un acto de “limpieza étnica”. El grupo Jewish Voice for Peace ha afirmado que la seguridad de Israel no puede utilizarse para justificar una ocupación permanente. En el ámbito cristiano, el arzobispo sudafricano Desmond Tutu advirtió: “Si eres neutral en situaciones de injusticia, has elegido el lado del opresor”.

El sionismo cristiano es hoy un movimiento mundial que cuenta con más de 600 millones de fieles, en su mayoría evangélicos, con más de 120 millones en América Latina y más de 100 millones en América del Norte. Su apoyo a Israel es total: organizan viajes, recaudan fondos y ejercen una presión política constante. Esta visión se basa en una interpretación literal de ciertos versículos bíblicos, leídos como profecías sobre el regreso de Cristo, y ve en la creación del Estado de Israel en 1948 un cumplimiento querido por Dios.

Es importante aclarar que se trata de una interpretación moderna y politizada, nacida en círculos evangélicos en el siglo XIX y difundida principalmente en Estados Unidos. No representa la enseñanza universal del cristianismo ni refleja el mensaje del Evangelio, que nunca ha justificado la opresión o la violencia para mantener los privilegios de un pueblo a expensas de otro. Muchos cristianos rechazan esta lectura y siguen el ejemplo de figuras como el arzobispo Desmond Tutu, defendiendo el derecho de los palestinos a vivir en paz y libertad, convencidos de que la verdadera fidelidad al Evangelio consiste en la justicia para todos.

El mecanismo no es diferente del utilizado por el Estado Islámico, que distorsionó el Corán para justificar la violencia y la conquista. En todos los casos, la fe se dobla a fines políticos y territoriales, lejos del espíritu original de la revelación divina.

El derecho internacional es claro. Las resoluciones de la ONU 242 (1967) y 338 (1973) exigen la retirada de los territorios ocupados y reconocen el derecho de los palestinos a un Estado soberano. La Declaración Universal de Derechos Humanos consagra la igualdad y la autodeterminación de todos los pueblos, mientras que la Corte Internacional de Justicia, en su opinión consultiva de 2004, declaró ilegal la colonización de los Territorios Ocupados.

Distinguir entre fe y fanatismo no es solo un ejercicio intelectual, sino un deber moral. El extremismo, dondequiera que surja, es enemigo de la paz. Solo reconociendo esta verdad podremos construir una convivencia basada en la justicia, la verdad y el respeto mutuo.

"Debemos distinguir entre la fe de una persona — ya que todas las religiones llaman al amor, la justicia y la cooperación — y las estrategias extremistas que siguen algunos que dicen ser creyentes."